কৌশিক চৌধুরী, দিনাজপুর:
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে আসা পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাক স্থলবন্দরের প্রধান সড়কে বিকল হয়ে পড়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ।
এদিকে সড়কে ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় যানজটের কবলে পরে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষদের। আজ বিকেল ৫ টায় হিলি স্থলবন্দরের চেকপোস্ট সড়কের দালাল অফিসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে বন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী নেওয়াজ হোসেন বলেন, আমদের হিলিবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। সড়কের যে নির্মান কাজ চলছে তার যে এত ধীরগতি তা বলে শেষ করার ভাষা নেই। আমরা যে পায়ে হেটে চলাচল করবো তার কোন ব্যবস্থা নেই সড়কের যে অবস্থা। বারংবার ঠিকাদারকে বললেও এবিষয়ে তারা কোন কর্নপাত করেননা। এতে করে মাঝে মধেই এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই দ্রত এই সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করে আমাদের দুর্ভোগ থেকে বাচানো হোক সেই দাবী জানাচ্ছি। আর যদি তা না হয় আমাদের পিট দেওয়ালে ঠেকে গেছে বাধ্য হয়ে আমাদের এলাকাবাসীর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএ্যাফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন বলেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত খৈল বোঝাই পণ্যবাহী একটি ট্রাক ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর বন্দরের প্রধান সড়কে উল্টে যায়। এতে করে ট্রাকের হেলফার ও সহকারী আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সড়কে ট্রাক বিকলের কারনে বন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। আমরা স্কাভেটর দিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত ট্রাকটি সরানোর ও মালামাল খালাসের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বন্দর দিয়ে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আমদানি রফতানির সময়সীমা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনায় পতিত ট্রাকটি সরানো সম্ভব নয়। যার কারনে আজ বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু করা সম্ভব নাও হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বন্দরের প্রধান সড়কটি খানা খন্দেভড়া মাঝে মধেই ট্রাক ফেসে গিয়ে বন্দর দিয়ে আমদনি রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সড়কি ফোর লেনে উন্নিতকরনের কাজ যে ঠিকাদার করছে তাদের গাফিলতির কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তারা চলাচলের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করেই সড়কের কাজ করছেন। তারপরে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোতে যদি খোয়া বালু ফেলতো তাহলে অন্তত পণ্যবাহী ট্রাকগুলো চলাচল করতে পারতো।