ফাহিম আহমেদ খান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের লক্ষ করে গুলি ছুড়েছে বালু দস্যুরা।
এসময় পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট, সদস্য ও সাংবাদিকরা। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের শমিবাদ এলাকায় মেঘনা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন উপিস্থত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ আসছে। আজ আমরা মোবাইল কোড অভিযানে গিয়েছি। সাথে ব্যাটেলিয়ান আনসার, থানা পুলিশ ছিল। অভিযানকালে আমরা বি-বাড়িয়া জেলার নবীনগর সিমান্তে বৈধ বালুমহল যাদেরকে দিয়েছে তারা আমাদের সীমানায় ডুকে মাটি কাটতে ছিল আমরা সেখান থেকে একটি ড্রেজার জব্ধ করেছি এবং দুইজনকে ধরে নিয়ে এসেছি। ইতিমধ্যে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অপর দিকে, রায়পুরা সিমান্তে চরমধুয়া এলাকায় একটি ইটভাটার কাছেই ড্রেজার বসিয়ে কতিপয় বালু দস্যু সন্ত্রাসী ট্রাইপের যারা আছে তারা সেখানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে অভিযান করি। আমাদের মোবাইল কোট ট্রিম সেখানে পৌছার আগেই তারা গুলি বর্ষন শুরু করে। এসময় আমাদের সাথে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স না থাকায় চলে আসি। ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছি কে বা কারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত মামলার প্রস্তিুতি নিচ্ছি।