স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদীর রায়পুরায় গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় রফিকুল ইসলাম ওরফে রবিকে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ তার ৮ অনুসারীকে গ্রেপ্তার করে।
গত বুধবার উপজেলার আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের ভাটি বদরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবি ওই এলাকার মৃত ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন ও বালু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রবির মধ্যে দ্বদ্বের সূত্রপাত বালু ব্যবসা নিয়ে। পরে এনিয়ে উভয় পক্ষ একাধিক বার সংঘর্ষে জড়ান। এতে দু’পক্ষের লোকজন আহতসহ বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটে ঘটনা ঘটে। এরই জেরে গত সোমবার ভোরে (২০জুন) রবি তার দুই শ অনুসারী নিয়ে নলবাটা গ্রামে গিয়ে গোলজার মেম্বারের অনুসারীদের ওপর গুলি বর্ষণ ও টেঁটা নিক্ষেপ করে। এতে দুজন টেঁটাবিদ্ধ ও ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত সবাই নলবাটা গ্রামের বাসিন্দা ও গোলজার মেম্বারের অনুসারী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর আত্মগোপনে ছিলেন রবি।
গতকাল ভাটি বদরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের আগে এ ঘটনায় তার ৮অনুসারী গ্রেপ্তার হন।
আরও জানা যায়, বালি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। এ ঘটনায় পর থেকে উভয় পক্ষই কয়েকবার সংঘর্ষ বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ইতিপূর্বে উভয় পক্ষের এ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)গোবিন্দ সরকার জানান, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় রবি বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। অপর দিকে সংঘর্ষে আহতের ঘটনায় কবির হোসেন বাদী হয়ে রবিকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০থেকে ৫০জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় রবিসহ তার ৮জন অনুসারীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।