রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিহতের স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম লাভলী আক্তার (৩০)। তিনি উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহচর এলাকার আমান উল্লাহর মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম মো. সুজন মিয়া (৩১)। সে মামুদপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে লাভলীর সঙ্গে সুজনের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুটি মেয়ে রয়েছে। গত দুই মাস আগে প্রবাস থেকে দেশে ফিরেন সুজন। শনিবার দিবাগত রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাতে গৃহবধূ লাভলীর পেটে ছুরিকাঘাত করে তার স্বামী। এ সময় পেট থেকে ভুঁড়ি বেরিয়ে আসে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পরে রোববার ভোরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
নিহত লাভলীর মামা বজলুর রহমান বলেন, ঝগড়া বিবাদ নিয়ে প্রায়ই ভাগ্নিকে নির্যাতন করত সুজন। রোববার রাত ৩টার দিকে সংবাদ পেয়ে সকালে এসে দেখি ঘরে লাভলীর লাশ পড়ে রয়েছে।
নিহতের মা বলেন, দশ লাখ টাকা চেয়েছিল মেয়ের জামাই। সেই টাকা না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল। পরে টাকা দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেই। রাতে ফোনে সংবাদ পাই লাভলীকে তার স্বামী মারধর করেছে। পরে সকালে এসে দেখি একা ঘরে চৌকিতে মেয়ের রক্তাক্ত লাশ।
রায়পুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ভোরে যখন বিষয়টি জানতে পারলাম তখনও ওই গৃহবধূ জীবিত ছিল। পরে তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশকে খবর দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামীসহ পরিবারে সবাই পালিয়ে যায়।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান নিহতের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর নিহতে স্বামীসহ পরিবারের সকল সদস্যরা পলাতক রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।