নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর রায়পুরায় হত্যা মামলার আসামী জামিনে এসে বাদী পক্ষের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ঘরের ভিতরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্নালংকার সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ঢেকে নিয়ে মামলার বাদী নিহতের মেয়ে হাফেজা বেগম ও তার স্বজনরা এ অভিযোগ করেন।
উপজেলার অলিপুরা ইউনিয়নের অলিপুরা দক্ষিনপাড়ায় বুধবার মধ্যরাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই পুলিশ বলছে ঘটনাটি সাজানো এবং নিজেরাই নিজের ঘরে আগুন লাগিয়েছে। পুলিশের এমন বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
মামলার বাদী হাফেজা বেগম ও তার স্বজনদের অভিযোগ, বাদীর বাবা ষাটোর্ধ বয়সী নবর আলীর সাথে তার সৎ চাচাত ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারী দিনের বেলায় উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে নবর আলী গুরুতর আহত হয়। পরে দীর্ঘ প্রায় ২৬দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় থেকে নবর আলীর মৃত্যু হয়। পরে উক্ত ঘটনায় নিহতের মেয়ে হাফেজা বেগম বাদী হয়ে ঘটনায় জড়িত ইদ্রিছ মিয়া, জয়নাল মিয়া, বাছেদ মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কয়েকজন কারাবরণ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে বাদীসহ তার স্বজনদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকী দিয়ে আসছিলো। এরই জেরে বুধবার রাত আনুমানিক আড়াই ঘটিকায় নবর আলীর বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ঘরের ভিতরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্নালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে ও আগুনের লেলিহান দেখে আশপাশের লোকজন এবং পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সাভিসের সদস্য এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
রায়পুরা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছি। তদন্ত ছাড়া আগুনের সূত্রপাত বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করে সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্বজন বলেন, বাদীপক্ষের অভিযোগ সত্য নয়। আর হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় তারা সব সময় বাড়িতে থাকে না।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ সাফায়েত হোসেন পলাশ মুঠোফোনে বলেন, তারা লোক ভালো না। দুপক্ষের লোকজনই খারাপ। তারা নিজেরা নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে। যাই হোক অভিযোগ দেক, দেখবো নে।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সন্ধায় নবর আলীর মেয়ে হাফেজা বেগম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে।