সামসুজ্জামান সুমন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা। বর্তমান বাজারে আলুর দাম বেশি। তাই উপজেলার চাষিরা শুরু করছেন আগাম আলু চাষ। স্বল্পমেয়াদি আগাম আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে সেই জমিতে আগাম আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন তাঁরা। এসব জমিগুলো একদম উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি। ভারী বৃষ্টিপাতেও সেখানে সহজে পানি জমে না। তাই পানি জমে আলু নষ্ট হওয়ার তেমন ভয় থাকে না। তা ছাড়া বর্তমানে আলুর বাড়তি দামের কারণে আগাম বাজার ধরার আশায় চাষিরা আগেভাগেই আলু রোপণ করছেন। ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের বীজ আলু রোপণে কোমর বেঁধে লেগেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, আলু চাষের আবহাওয়া অনুকূলে। আগাম আমন ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আগাম আলু রোপণের জন্য জমিতে হালচাষ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ আলু সংগ্রহ ও রোপণে শত শত চাষি ও কৃষি শ্রমিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠের এত প্রাণচাঞ্চল্য নজর কাড়ছে সবার। ইতিমধ্যে অনেক কৃষক আগাম আলু রোপন শেষ করেছেন৷
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আলুচাষী লুৎফর রহমান লুতু বলেন আমি প্রত্যেক বারে আল্লাহ রহমতে লাভ করি। এবারও আমি ৫০-৬০ বিঘা জমিতে দ্বিগুন লাভের আশায় আগাম আলু রোপন করছি। অপরদিকে পুটিমারি ইউনিয়নের কালিকাপুর চৌধুরীপাডা গ্রামের কৃষক ফজলে রাব্বি চৌধুরী টিপু ২০- ২২ বিঘা জমি,
দুরাকুটি গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী ১৫ বিঘা জমিতে আগাম আলী রোপন করবেন বলে জানান। দুরাকুটি এলাকার আলুচাষী আকবর আলী বলেন, গত বছর আমি ১০ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করেছিলাম। সেখানে আগাম আলু চাষ করে কয়েক লক্ষ লাভ করেছি। তবে এবার সবকিছুর বাজারমূল্য বেশি রাসায়নিক সার, হালচাষ,কৃষকের দাম বেশি। এবার সবকিছুর দাম বেশি। কিন্তু বিক্রিতে বাজার মূল্য বেশি না হলে লোকসান গুনতে হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, এবছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন আশা করা হচ্ছে। আরও আশা করা যায় উপজেলায় ৪ শ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।