লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লা লালমাই উপজেলার বাকই উত্তরের ভাবকপাড়া ব্যাপারী বাড়ির সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ ও হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক প্রবাসী পরিবার।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাতে উপজেলার ভাবকপাড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একজন প্রবাসীর স্ত্রী। বাড়িতে শ্বাশুড়ি ও ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে একাই থাকি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমার এবং সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি ২০ বছরের পুরনো। এই রাস্তায় আমাদের জমিও আছে, আমাদের অনেকগুলো গাছ কেটে রাস্তাটি মেরামত করার সময় আমাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকাও নিয়েছিল অলি উল্লাহ সুমন। দীর্ঘদিন ধরে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে অলি উল্লাহ সুমন, আমান উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী ও রহমত উল্লাহ আমাদের বসতের জমি দখল করতে চায়। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন সময় আমাদের মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে, বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার থেকে সবাই অবগত আছে। পূর্বেও আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না বলে তারা পথ বন্ধ করে দেয় এবং গালিগালাজ করে। সে নিরিখে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আবারও তারা আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। সকালে উঠে দেখি আমাদের পথ বন্ধ। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি রাস্তা খুলে দেয়ার জন্য গ্রাম পুলিশ পাঠালে মোহাম্মদ আলী দা হাতে নিয়ে গ্রাম পুলিশের উপর আক্রমণ করলে তারা চলে যায় এবং পরে আমাদের উপর আক্রমণ করে। পরে বিষয়টি আবার চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি পুনরায় গ্রাম পুলিশ পাঠালে তারা বেড়াটি খুলে দিলে মোহাম্মদ আলী আবারও তাদের উপর আক্রমণ করে। পরে আমরা বিষয়টি লালমাই থানার ওসিকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠায় সে পুলিশের সাথেও খারাপ আচরণ করে, পুলিশকে গালাগালি করলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে এসেই মোহাম্মদ আলী আরো উত্তেজিত হয়ে যায়, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করতে থাকে, ঘরে মিস্ত্রি কাজ করতে পারে না তাদেরকে বাঁধা দেয়, গালিগালাজ করে৷ আমরা তো প্রবাসীর পরিবার, আমার স্বামীর চার ভাই তারা সবাই প্রবাসে থাকে। বাড়িতে আমরা মহিলারাই থাকি। ওদের ভয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। আমাদেরও তো নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে, তারা কেন বার বার আমাদেরকে এতো নির্যাতন, এতো অত্যাচার করবে। দেশে তো আইন আছে। এছাড়া তারা আমাদেরকে সমাজে কোনো কথা বলতে দেয় না, আমরা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সালিশের কাছে কোনো কিছু জানালে সামাজিকভাবে কেউ বিচার করতে আসলে তারা তাদেরকেও অপমান করে, বিভিন্নভাবে অপবাদ দেয়। আমাদের পক্ষে কেউ ন্যায্য কথা বলুক, ন্যায্য বিচার করুক এটা তারা চায় না। এখন আমরা কোথায় যাবো? আমরা আর সহ্য করতে পারছি না, তাদের অত্যাচারে আমাদের রক্ত সব পানি হয়ে গেছে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে একটাই অনুরোধ তাদের অত্যাচার থেকে আমরা বাঁচতে চাই, আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই।