মোঃ আরমান ভূইয়া হানিফ
১৫ আগ্সট, শুক্রবার, ১৯৭৫ সাল।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি তাজা রক্তে হয়ে ছিলো লাল!
মানব চিত্তে এই শোক থাকবে চিরকাল!
রংহীন গগন, স্তব্ধ ভূবণ ;
আহাজারির ভারী সমীরণ, থর থর মাটির কম্পন ;
চারদিক অনড় অমত্ত ছিলো সে দিন-
রক্তে রঞ্জিত যখন, বঙ্গবন্ধুর ভবন।
শহীদি মরণ, করেছো গমন ;
তোমার জন্য আজও কাঁদে বাঙালির মন।
এই হত্যা যে হৃদয় শিহরণ!
আল্লাহর দোহায় লাগে, আল্লাহর দোহায়-
জানে মারবেন না আমায়!
কাজের ছেলে হয়ে থাকবো আপনাদের বাসায়।
দয়া করে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন আমায়!
বলেছিলে ক্রন্দনরত অবস্থায়।
পায়ে পরি আপনাদের!
মৃত্যু পূর্বে এই ছিলো মিনতি,
তবুও হয়নি দয়া খুনিদের ;
ছোট্ট শিশুটির মেনে নিতে হলো
মৃত্যুর নির্মম নিয়তি।
সহসা একদল বেঈমান,
বুলেটের আঘাতে কেড়ে নিলো প্রাণ।
বাচাঁর জন্য শত চেষ্টায়ও মিলেনি মুক্তির পণ!
এ যেন ছিলো এক বর্বরতার খুন।।
বাচঁতে তোমাকে দেয়নি ওরা,
সুন্দর এ ধরণীতে ,
একটুও মায়া করেনি তারা,
প্রাণটা তোমার কেড়ে নিতে।
বিচার যেন হয় তাদের ,
দুনিয়া ও আখিরাতে।
বাচাঁতে তোমায় পারিনি মোরা ;
ঐ হত্যাকারী প্রবঞ্চকের হাত থেকে,
কি নিষ্ঠুর-ঘাতক; খুনি, “নরপশু যে তারা” !
শিশু বলেও তোমায় করেনি দয়া-
মরণ গুলি চালাতে বুকে ।
মোদের তুমি করিও ক্ষমা, “রাসেল” !
মানতে যে পারিনা কভু-
তোমার এই নিষ্ঠু অকাল মরণ।
বিচার দেখিও হবেই একদিন!
ইহকাল ; নয়তো পরকাল ।
বৃদ্ধ-জোয়ান-কিশোররা মিলে,
উচ্চ স্বরে সমতালে,
বিচার চাই, বিচার চাই-
রাসেল হত্যার বিচার চাই!
বলছে দলে দলে, স্লোগানে মিছিলে।
সব মানুষের অন্তরেতে,
শেখ তুমি আছো গেথে।
গ্রামে-গঞ্জে-শহরে-গলিতে,
সবাই বলি এক সাথে ;
বিচার যেন হয় আখিরাতে।।
পুষ্প অর্পন করি যখন তোমার সমাধিতে
চোখে জল নেমে আসে অতর্কিতে।
স্রষ্টার কাছে চাহি মোরা মোনাজাতে-
যারা তোমায় দিলনা বাচিঁতে,
বিচার যেন হয় তাদের,
বাংলার মাটিতে।