কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
চলতি রোপা আমন মৌসুম প্রায় শেষের পথে হলেও অনাবৃষ্টির কারনে নওগাঁর আত্রাইয়ের কৃষকরা শেষ মহুত্বে রোপনের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত। তবে কৃষকদের ধারনা চলতি ভাদ্র মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে রোপন কাজ শেষ করতে।
সরেজমিনে আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনের আলো ফোটার সঙ্গেই অনেকে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করছেন। কেউ জমি প্রস্তুত করছেন, কেউ বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছে আবার কেউ ভাটিয়ালি গানের সুরে জমিতে চারা রোপন করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে একাধিক অভিজ্ঞ কৃষক জানান, বর্ষা মৌসুমের শ্রাবন মাসের মধ্যে আমন ধানের চাষ রোপন কাজ শেষ না করলে শেষে অনাবৃষ্টির কারনে অনেক জমিতে ফসল কম হয়।
যে কারনে উক্ত অভিজ্ঞ মহল আরও জানায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে আষাঢ ও শ্রাবনের মাঝামাঝি পর্যন্ত অনাবৃষ্টির কারনে কোন কৃষক মাঠে বীজতলা ফেলতে পারেনি।ফলে দেরিতে বীজ তলা ফেলায় রোপন কাজ পিছিয়ে পড়েছে। আষাঢ ও শ্রাবণ মাস নিয়ে বর্ষাকাল। এ কালের প্রথম থেকেই আকাশ ঘন কালো মেঘের ঘনঘটা ও সাথে সাথে বৃষ্টিপাত যেন চিরায়ত। আবার বৃষ্টির ধরন কখনও গুড়িগুড়ি কখনও ভারি ও মুষলধারে। তবে কালের বিবর্তনে ও জলবায়ূ পরিবর্তনে আমাদের রিতুগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ভাদ্র মাসেও বর্ষার স্বরুপ দেখা দিয়েছে। এদেশে আমন চাষ হচ্ছে বৃষ্টি নিভর। কিন্তু চলতি বর্ষাকালে আত্রাই উপজেলায় কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।
এদিকে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, এ উপজেলায় ছয় হাজার নয় শত হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হলে তা পূরন হওয়ার আশা করা যাচ্ছে।সে জন্য নয় শত পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে বীজ তলা ফেলা হয়েছে।
অপর দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছে খবর নিয়ে জানা গেছে।চলতি বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় অনেক উচুঁ জমিতে আজও চাষ করা সম্ভব হয়নি। তারা আরও জানায়, চলতি ভাদ্র মাসের প্রথমে একটু বৃষ্টি হওয়ায় রোপন কাজ শুরু করেছেন। তবে রোপন মৌসুমের শেষ সময়ে ধান রোপন করে ফসল কেমন হবে তা নির্ভর করছে বৃষ্টির উপর।
আত্রাই উপজেলার মালিপুকুর গ্রামের কৃষক আব্দুল রাজ্জাক, পালশা গ্রামের কৃষক রামপ্রসাদ, বলরাম চন্দ্র,সুধির চন্দ্র রায় জানান সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় বীজ তলা দেরিতে ফেরায় এ বছর রোপন কাজ পিছিয়ে পড়েছে এবং আরও বৃষ্টি না হলে অনেক উচুঁ জমিতে ধান রোপন সম্ভব নয়।