ডেস্ক রিপোর্ট:
‘পড় বই, গড় দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এবারের মেলার এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ছাড়াও ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২’ বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলা শুরু হলো। এবার ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তবে দর্শক, ক্রেতা ও পাঠকেরা রাত সাড়ে ৮টার পরে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবেন না। ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে মেলা শুরু হবে। মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকছে না। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তর করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থ-উন্মোচন অংশের কাছাকাছি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার লিটল ম্যাগাজিনের জন্য ১৫৩টি স্টল ও ৫টি উন্মুক্ত স্থান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতবারের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের স্থানটি এবারের মেলাতেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই জায়গাটি এবার নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থান, শৌচাগার ও খাবারের দোকান দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন ও শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনা বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে ‘শিশুপ্রহর’।
প্রতিবারের মতো এবারের বইমেলাতেও চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার ও কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে। এসব পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা হবে মেলার শেষ দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি)।
সূত্র: ইত্তেফাক