Headline :
যেনতেন মার্কা নির্বাচন এ জাতি চায় না : ডা. শফিকুর রহমান সেরাজনগর এম এ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী নদী ঘোরাও নদীর পথে ফাউন্ডেশন নরসিংদী জেলা কমিটি গঠন নরসিংদীর রায়পুরায় বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য কাজল মিয়াকে দুর্বৃত্তদের গুলি তাতীদল কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মনিরুজ্জামান মনির স্মৃতি সংসদের কার্যালয় উদ্বোধন রায়পুরায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত রায়পুরায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক জমি দখলের চেষ্ঠার অভিযোগ নরসিংদীতে জেলা জাতীয় পার্টির নতুন কমিটি; সভাপতি হাবিব, সম্পাদক নেওয়াজ রায়পুরার নিলক্ষায় অপপ্রচারের প্রতিবাদে কাইয়ুমের সংবাদ সম্মেলন নরসিংদীতে বৃদ্ধের লালসার শিকার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী, ধর্ষক আটক
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

কালের বির্বতনে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে আত্রাইয়ের মৃৎশিল্প

Reporter Name / ১৯৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি:

কালের বিবতনে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে নওগাঁর আত্রাইয়ের মৃতশিল্প। প্রয়োজনীয় অর্থ ও উপকরণের অভাবে আত্রাই উপজেলার মৃতশিল্প ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। মৃৎ শিল্পীরা নিজ পেশা ছেড়ে এক প্রকার বাধ্য হচ্ছে অন্য পেশায় আত্ন নিয়োগ করতে। কালের বিবতন, প্রতিকুলতা আর প্রযুক্তির এ যুগে মেলামাইন শিল্পের বিকাশে মৃৎলিল্প বিলুপ্ত প্রায়।
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আটটি ইউনিয়নে মৃৎশিল্পীদের হাতের তৈরি মাটিড় হাঁড়িপাতিল ও ভৈজসপত্রের প্রশংসা ছিল পুরো রাজশাহী বিভাগ জুড়ে।

স্থানীয় কুমারদের হাতে তৈরি মাটির হাড়িপাতিল, কলস, প্রদিপ, খেলনার তৈজসপত্র আর ঘর ছাওনির টালি ছিল মানুষের নজর কাড়া। শহর অঞ্চলে মাটির তৈরি ভৈজসপত্র ব্যবহার না থাকলেও এক সময় গ্রামঞ্চলে এগুলোর ব্যবহার ও চাহিদ ছিল প্রচুর, গ্রামে বসবাসকারি বিভিন্ন পরিবারের মেয়েদের পয়সা সংগ্রহের জন্য মাটির তৈরি ব্যাংকের কথা সবার জানা। বিদ্যুৎ চলে গেলে গ্রামের বাড়িতে মাটির প্রদীপের চাহিদাও ছিল। যা বতমানে বিরল। তবে বিভিন্ন রোগ বালাই সারতে এখনও গ্রামের মানুষেরা ব্যবহার করে আসছে পিঠা তৈরীর বাসন, মাটির কলস, হাড়ি ও দই ভরানোর জন্য ছোট ছোট পাতিলসহ ইত্যাদিআর একারনেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর, পাঁচুপুর, সাহেবগঞ্জ, বিশা, হাটকালুপাড়া, কালিকাপুর পল্লীতে এখনও চাকা ঘুরছে। কিন্তু আগের মত জাঁকজমক আর নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কষ্ট, হতাশায় যেন সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে পল্লীগুলোতে। এক সময়ের নন্দিত মৃতশিল্প বিলুপ্তির পেছনে নানাবিধ সমস্যা বিরাজ করছে। কুমারদের শ্রমের মজুরি খুবই কম। প্রয়োজননীয় মাটি ও জ্বালানীয় অভাব, সমস্যা বাজারজাত করনেও। সবপরি আধুনিক মেলামাইন শিল্পের বিকাশের জন্য মৃতশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে।

মঙ্গবার (৪ জুলাই) সকালে মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত উপজেলার মির্জাপুর পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় শ্রী গজেন্দ্র নাথ পাল, শ্রী অমল চন্দ্র পাল, শ্রীমতি সম্পারানী পাল, শ্রীমতি ইতিরানী পাল, ম্রীমতি সুসমা রানী পালের সাথে তারা জানান, মাটির তৈরি জিনিসপত্ত্রের চাহিদা কমে গেছে অনেকাংশে, প্রয়োজনীয় মাটির অবাবে, দ্রব্যমূল্য সহ বিভিন্ন কারনে তারা তাদের পুরাতনঐতিহ্য ধরে রাখতে পারছে,তাদের এ পাড়ায় এক সময় তিন’শ পরিবার ছিল এর মধ্যে সব পরিবার ভারতে চলে গেছে। বর্তমানে চল্লিশটি পরিবার রয়েছে। তারাই একমাত্র মৃৎশিণ্পের চাহিদা আবারো ফিরে আসবে বলে মনে করছেন।

এবিষয়ে আত্রাই উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল রানা বলেন, এই উপজেলার মৃতশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে একটি প্রাথমিক জরিপ করা হয়েছে। তাদের পুজিঁ ব্যপারে অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আশা করছি এবছরে মৃৎ শিল্পকে টিকিয়ে রাখকতে বিনা সুদে তাদের লোন দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category