1. mostafa0192@gmail.com : admin :
  2. rokysaha83@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রায়পুরায় ৩দিন ব্যাপী জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস মেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ নরসিংদীতে বহুতল ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু রাজারহাটে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু বেলাবতে নবনির্মিত অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ একাডেমিক ভবন উদ্বোধন রায়পুরায় যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত, আহত ৩ পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের ‍শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তিতে যশোর জেলা পুলিশের অভিনন্দন নরসিংদী জেলা প্রেস ক্লাব’র কমিটি গঠন; সভাপতি রিপন, সম্পাদক আইয়ুব খান জাতীয় শিক্ষা পদক- ২০২৩ রায়পুরার শ্রেষ্ঠ কাব স্কাউট শিক্ষক জায়েদা বেগম বেলাব উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সাভারে ছয়টি কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

কালের বির্বতনে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে আত্রাইয়ের মৃৎশিল্প

  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩
  • ১৯ সময়

কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি:

কালের বিবতনে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে নওগাঁর আত্রাইয়ের মৃতশিল্প। প্রয়োজনীয় অর্থ ও উপকরণের অভাবে আত্রাই উপজেলার মৃতশিল্প ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। মৃৎ শিল্পীরা নিজ পেশা ছেড়ে এক প্রকার বাধ্য হচ্ছে অন্য পেশায় আত্ন নিয়োগ করতে। কালের বিবতন, প্রতিকুলতা আর প্রযুক্তির এ যুগে মেলামাইন শিল্পের বিকাশে মৃৎলিল্প বিলুপ্ত প্রায়।
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আটটি ইউনিয়নে মৃৎশিল্পীদের হাতের তৈরি মাটিড় হাঁড়িপাতিল ও ভৈজসপত্রের প্রশংসা ছিল পুরো রাজশাহী বিভাগ জুড়ে।

স্থানীয় কুমারদের হাতে তৈরি মাটির হাড়িপাতিল, কলস, প্রদিপ, খেলনার তৈজসপত্র আর ঘর ছাওনির টালি ছিল মানুষের নজর কাড়া। শহর অঞ্চলে মাটির তৈরি ভৈজসপত্র ব্যবহার না থাকলেও এক সময় গ্রামঞ্চলে এগুলোর ব্যবহার ও চাহিদ ছিল প্রচুর, গ্রামে বসবাসকারি বিভিন্ন পরিবারের মেয়েদের পয়সা সংগ্রহের জন্য মাটির তৈরি ব্যাংকের কথা সবার জানা। বিদ্যুৎ চলে গেলে গ্রামের বাড়িতে মাটির প্রদীপের চাহিদাও ছিল। যা বতমানে বিরল। তবে বিভিন্ন রোগ বালাই সারতে এখনও গ্রামের মানুষেরা ব্যবহার করে আসছে পিঠা তৈরীর বাসন, মাটির কলস, হাড়ি ও দই ভরানোর জন্য ছোট ছোট পাতিলসহ ইত্যাদিআর একারনেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর, পাঁচুপুর, সাহেবগঞ্জ, বিশা, হাটকালুপাড়া, কালিকাপুর পল্লীতে এখনও চাকা ঘুরছে। কিন্তু আগের মত জাঁকজমক আর নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কষ্ট, হতাশায় যেন সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে পল্লীগুলোতে। এক সময়ের নন্দিত মৃতশিল্প বিলুপ্তির পেছনে নানাবিধ সমস্যা বিরাজ করছে। কুমারদের শ্রমের মজুরি খুবই কম। প্রয়োজননীয় মাটি ও জ্বালানীয় অভাব, সমস্যা বাজারজাত করনেও। সবপরি আধুনিক মেলামাইন শিল্পের বিকাশের জন্য মৃতশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে।

মঙ্গবার (৪ জুলাই) সকালে মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত উপজেলার মির্জাপুর পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় শ্রী গজেন্দ্র নাথ পাল, শ্রী অমল চন্দ্র পাল, শ্রীমতি সম্পারানী পাল, শ্রীমতি ইতিরানী পাল, ম্রীমতি সুসমা রানী পালের সাথে তারা জানান, মাটির তৈরি জিনিসপত্ত্রের চাহিদা কমে গেছে অনেকাংশে, প্রয়োজনীয় মাটির অবাবে, দ্রব্যমূল্য সহ বিভিন্ন কারনে তারা তাদের পুরাতনঐতিহ্য ধরে রাখতে পারছে,তাদের এ পাড়ায় এক সময় তিন’শ পরিবার ছিল এর মধ্যে সব পরিবার ভারতে চলে গেছে। বর্তমানে চল্লিশটি পরিবার রয়েছে। তারাই একমাত্র মৃৎশিণ্পের চাহিদা আবারো ফিরে আসবে বলে মনে করছেন।

এবিষয়ে আত্রাই উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল রানা বলেন, এই উপজেলার মৃতশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে একটি প্রাথমিক জরিপ করা হয়েছে। তাদের পুজিঁ ব্যপারে অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আশা করছি এবছরে মৃৎ শিল্পকে টিকিয়ে রাখকতে বিনা সুদে তাদের লোন দেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...
© All rights reserved © 2013 alokitokhobor.com
Theme Customized By Khan IT Host