স্টাফ রিপোর্টার:
প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাবে রাজি করাতে না পেরে তারে উপযুক্ত মেয়েকে জোড় পূর্বক ধর্ষনের চেষ্ঠা করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুর্শিদাবাদের কুদ্দুছ মিয়া, রফিক মিয়া ও তোফাজ্জল মিয়া নামে তিনজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে রবিবার (৯জুলাই) রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন বলে জানান ভুক্তভোগী মেয়ের মা।
রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ করতে এসে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীর কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রী অর্থাৎ মেয়ের মা জানান, বেশ কিছু দিন ধরে একই এলাকার কুদ্দুছ বিভিন্ন সময় আমাকে কৃপ্রস্তাব দেয়। বিভিন্ন অজুহাতে ঘরে ডুকার চেষ্ঠা করে। আমি তাকে ঘরে না আসার জন্য বারণ করি এবং এক পর্যায়ে কড়া ভাষায় নিষেধ করি। তাই সে আমাকে তার কুপ্রস্তাবে রাজি করাতে না পেরে আমার উপযুক্ত মেয়ের পিছনে লাগে। এক পর্যায়ে ৩ জুলাই সন্ধার পর পার্শ্ববর্তি মামার বাড়ি যাওয়ার পথে কুদ্দুছের বাড়ির কাছে যেতে না যেতেই কুদ্দুছ তার চোখেমুখে কাপড় দিয়ে বেধে পার্শ্বতি রফিকের বিল্ডিং এর একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে কুদ্দুছ ও তার দুই সহযোগী রফিক ও তোফাজ্জল মেয়েটিতে বিবস্ত্র করে জোড়পূর্বক ধর্ষনের চেষ্ঠা চালায়। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এসময় তার শরীরে জবধস্তির আঘাতের দাগ পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
পরবর্তীতে সে তার মেয়েকে নিয়ে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করতে থানায় আসতে চাইলে পথিমধ্যে অভিযুক্তরা থানার পিছনের রাস্তা রেজিট্রি অফিসের মোড় থেকে টানাহেছড়া তাদের বাড়িতে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। তখন তারা হাতে পায়ে ধরে তাদের ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষতে এমন কিছু করবেন না বলে একটি কাগজে লিখিত অঙ্গিকার প্রদান করেন। এসময় তারা থানায় মামলা না করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ঘটনারি ২/১দিন যেতে না যেতেই অভিযুক্তরা আবারো আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতে থাকে। এসবের প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে ভয় ভীতি দেখায়। থানায় মামলা করলে মেয়েসহ আমাদেরকে মেরে ফেলবে এমন হুমকী দেয়। তাদের ভয়ে আমি বসত ঘর থেকে সারাদিন বের পারিনা। আমার স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তাদের হুমকীর ভয়ে আমি একা আমি ও আমার মেয়ের সাথে অন্যায়ের বিচার দাবীতে আইনের সহযোগিতা নিতে পারছি না এবং গ্রামবাসীও নিরব ৷
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।