আরিফুর রহমান স্বপন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন অন্য ৬ প্রার্থী। মন্ত্রী এ আসনে ৫ম বারের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সূত্র মতে, কুমিল্লা-৯ আসনটি লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে লাকসামে ৬৬টি ও মনোহরগঞ্জে ৬০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৪৮ জন। এতে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৬৫টি। বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪৩টি, বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৯২২টি। ভোটের হার ৫৯.২৪ শতাংশ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬টি ভোট। প্রাপ্ত ভোটের ৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন অন্য ৬ প্রার্থী।
তাদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মীর মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট, জাতীয়পার্টির প্রফেসর ড. মো. গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৯ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. জমির উদ্দিন গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪৬ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জালালী মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮২৭ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল আনোয়ার মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭৫ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মো. হাছান মিয়া নোঙ্গর প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩০ ভোট। লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা ৬ প্রার্থীর জামানত হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।