মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ):
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় মোছা. বৃষ্টি মনি (১৭) নামে এক ছাত্রী বসত ঘরের ধর্ণার সাথে রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
২৮ জুলাই শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের আগরপুর উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। সে আগরপুর উত্তর পাড়া গ্রামের নাম মো. বাচ্চু মিয়ার কন্যা। সে এবার ২০২৩ সালে স্থানীয় আগরপুর গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ- ৩.৭২ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এত কম পয়েন্ট পাওয়ায় তার বড় ভাই মো. আকাশ মিয়া ও মো. বশির মিয়া তাদের ছোট বোন বৃষ্টি মনিকে ধমক দিয়ে বলে এত কম নাম্বার পেল কেন? এছাড়া এলাকাবাসীসহ তার সহপার্টিরা বৃষ্টি মনিকে বলে তুইতো জিপিএ-৫ পয়েন্ট পাওয়ার কথা, এত কম নাম্বার পেলে কি ভাবে। এসব কথা শুনে সে মানষিক ভাবে ভেঙে পরে। এক পর্যায়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিমানে বসত ঘরের নিজ রুমে ধর্ণার সাথে রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে ওইদিন শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ লাশ দেখতে বৃষ্টি মনির বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে। বৃষ্টি মনির অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পরেছে। বৃষ্টি মনিকে হারিয়ে তার বাবা, মা, ভাই, বোন ও বৃদ্ধ দাদী চোঁখের জলে বুক ভাসাচ্ছে।
মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ):
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শামীম (২০) নামে এক প্রতিবন্ধী বসত ঘরের ধর্ণার সাথে রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
গত ২৮ জুলাই শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ছমিউল্লাহ পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। সে লক্ষ্মীপুর ছমিউল্লাহ পাড়া গ্রামের নাম মজনু মিয়ার পুত্র। সে একজন শারীরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধী যুক।
এলাকাবাসী বলেন, সে বেশ কিছুদিন ধরে তার পিতা মাতাকে চাপ দিয়ে আসছিলো তাকে বিয়ে করানোর জন্য। এমনও বলে আসছিলো তাকে বিয়ে না করালে শুক্রবারে আত্মহত্যা করবে। বিয়ে করালেও শুক্রবারে আত্মহত্যা করবে। মানষিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার এসব কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। অবশেষে তার কথাই ঠিক প্রমাণ করলো।
শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নিজ বসত ঘরের নিজ রুমে ধর্ণার সাথে রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে। খবর পেয়ে ওইদিন শুক্রবার রাতে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়।
এব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই প্রতিবন্ধীর লাশ তার পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।