খালিদ হাসান রিংকু, কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়া জেলা হতে বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া, অজ্ঞানকরে নেওয়া এবং ছিনতাই হওয়াসহ লাশ গুমের ঘটনায় সর্বমোট ১২ জন আসামী গ্রেফতারসহ ০৮টি ইজিবাইক উদ্ধার।
কুষ্টিয়া জেলা থেকে বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া, অজ্ঞান, ছিনতাই সহ মরদেহ গুমের ঘটনায় ১২ আসামী গ্রেফতার ও ৮টি ইজিবাইক উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ।
কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সাংবাদিক সম্মেলনে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি দে এসব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, কুষ্টিয়ার কবুরহাট এলাকার নাজির আহাম্মেদ হিরু গত ৩ আগষ্ট ইজিবাইক সহ নিখোঁজ হয়। এর সাথে জড়িত সন্দেহে সদর উপজেলার বারখাদ এলাকার জনি ও বাড়াদী এলাকার তুষারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৪ আগষ্ট চৌড়হাস এলাকার এজাজুল হকের বাড়ির বাগানে পুতে রাখা অবস্থায় নাজির আহাম্মেদ হিরুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আসামীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাবনা জেলার পাটকিয়াবাড়ী এলাকায় জেলার ডিবি পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আনন্দ মোল্লা ও রঞ্জুর কাছে থাকা হিরুর চুরি যাওয়া ইজিবাইক সহ আরো ৮টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বারখাদা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে জনি হোসেন (২৮), বাড়াদী এলাকার তুষার (২২), একই এলাকার আদু হুজুরের ছেলে দিপু (২২), মঙ্গলবাড়ি এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে ইমরান (২৫), আড়–য়াপাড়া এলাকার মৃত মকছেদ আলীর ছেলে মাহাবুব আলী @ বিদ্যা (৫৫), হরিপুর এলাকার মৃত আহাম্মদ মালিথার ছেলে রেজাউল ইসলাম রিয়াজ (৫০), দহকুলা এলাকার মৃত রিয়াজ মালিথার ছেলে মাহাতাব (৪০), কবুরহাট এলাকার মৃত ছামাদ মন্ডলের ছেলে আবু কালাম (২৭)।
মিরপুর থানার তালবাড়িয়া এলাকার মৃত জামাল সর্দ্দারের ছেলে ইকবাল (৩৯), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর এলাকার মৃত হাছান আলীর ছেলে মকবুল হোসেন (৫২), পাবনা জেলার রামেশ^রপুর এলাকার মোস্তফা মোল্লার ছেলে আনন্দ মোল্লা (২৭), পাটিকিয়াবাড়ীর রজব আলীর ছেলে রঞ্জু (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।