এস,এম ইসাহক আলী রাজু, নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরে অবস্থিত গুরুদাসপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৯ মে) বেলা ১১টায় গুরুদাসপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মিঠুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ বজলুর রহমান।
এছাড়াও বিদায়ী ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাদিয়া আফরিন নিশাত, ফাহারিয়া হোসেন নিহা, সামিয়া সুর্বনা অরিন, নাইমা সুলতানা মৌ, নেছার মোরছালিন ও সিমান্ত মোল্লা।
অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রেদোয়ান ইসলাম, সানজিদা আক্তার নিভা ও ফারিহা ইয়াসমিন তুলি প্রমুখ।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা মোঃ আতিকুর রহমান।
এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গুরুদাসপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মিঠু বলেন, স্কুলটি জাতীয় করণ করায় প্রথমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতগত্যা প্রকাশ করছি। সেই সাথে স্কুলের সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ফলাফলে উপজেলার সেরা হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি শিক্ষার্থীদের ভালো ভাবে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান।
বক্তব্য শেষে বিদায়ীছাত্রীদের সফলতা কামনা করে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ম্যানেজিংকমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন বলেন, আজকের শিশুর আগামী দিনের ভবিষ্যত। আগামী দিনে তোমাদেরকেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। দেশে সু-শাসন প্রতিষ্টায় তোমাদেরই যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি হতে হবে। তবেই দেশ দূর্নীতি,মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সরকার আন্তরিক ভাবেকাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অবহেলিত এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি করে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার সুফল দেশের স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরা ভোগ করে যাচ্ছে।