নিজস্ব প্রতিবেদক:
দক্ষিন খুলনার ত্রাস, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী ওজিয়ার রহমান এবং তার এক সহযোগীকে মাদকসহ গ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতের হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মঙ্গলবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওজিয়ার দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান করে আসছিলো। তার প্রত্যক্ষ মদদে এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান চক্র। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাড়তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ঘের মালিকদের কাছ থেকেও মাসোহারা আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডের জেরে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা হয় এবং এখনও চলমান।
বিষয়গুলো আমলে নিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকচক্র নির্মূলে সাতক্ষীরা জেলা সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীর দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় খুলনার সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদর থানার কাটিয়া এলাকা থেকে পাইকগাছার রামনগর গ্রামের ওজিয়ার রহমান এবং তার এক সহযোগীকে মাদকসহ আটক করা হয়। পরে সাতক্ষীরা সদর থানায় মাদক আইনে আলাদা একটি মামলা করে পুলিশ।
এদিকে, দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ারের গ্রেফতার খবরে এলাকার জনসাধারণ ও নিরীহ-নিপীড়িত মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক চোরাচালানের মূল কেন্দ্র খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর বাজারের মাছের কাটা (আড়ত)-এর সেক্রেটারি আবুল হোসেনের কার্যালয়। সেখানে বসে চোরাচালান চক্রের চলে মাদকের লেনদেন ও সরবরাহ। আবুলে হোসেনের বাবা ইসমাইল সম্প্রতি সীমানাপিন ও মাদকসহ গ্রেফতারের পর জেল থেকে ছাড়া পায়। এই একই কেন্দ্রের গডফাদার ওজিয়ার রহমান জনপ্রতিনিধির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান করে। বিভিন্ন সময়ে র্যাবের হাতে তিন তিনবার আটকও হন তিনি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলমান। মামলা নং-১৫,২২/৩/২০১৪, ও সি এস নং ৯৭,১৫/৪/)২০১৪ এখনও বিচারাধীন।