আরিফুর রহমান স্বপন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
দাদনের টাকা চাইতে গিয়ে কুমিল্লার লাকসামে ছুরিকাঘাতে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আউয়াল হোসেন সিয়াম (২০) নামে এক তরুণ খুন হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে অপর এক ভাঙ্গারি হকার। সে ভাঙারি ব্যবসায়ী সিয়ামের কর্মচারী।
শনিবার (২২ জুলাই) রাতে লাকসাম পৌরসভার গন্ডামারা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সিয়াম পৌরসভার কসাইখানা এলাকার সরাফত আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে পৌরসভার গন্ডামারা এলাকার আউয়াল হোসেন সিয়াম ভাঙ্গারি ব্যবসা করে আসছেন। ভাঙ্গারি মালামাল ক্রয় করতে ব্যবসায়ী সিয়ামের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দাদন নেয় সবুজ নামে এক হকার। হকার সবুজ একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে। হকার সবুজ দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ী সিয়ামের টাকা পরিশোধ না করে অন্য ভাঙ্গারি দোকানে মালামাল বিক্রি করেন। দাদনের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় কয়েকবার। শনিবার সন্ধায় ব্যবসায়ী সিয়ামের কর্মচারী জাহাঙ্গীর খালপাড় এলাকায় হকার সবুজের কাছে দাদনের পাওনা টাকা চাইতে গেলে জাহাঙ্গীরকে ছুরিকাঘাত করে সবুজ। এতে জাহাঙ্গীর আহত হয়ে পালিয়ে এসে সিয়ামকে জানালে সিয়াম রাতে সবুজকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সবুজ সিয়ামকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে এবং ভাঙ্গারি দোকানের পাশে পরিত্যাক্ত একটি জায়গায় সিয়ামের লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ওই দিন রাত প্রায় একটার দিকে তার ভাঙ্গারি দোকানের সামনে পরিত্যক্ত ওই জায়গায় সিয়ামের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বাবা সরাফত আলীর বলেন, ওই দিন আমার ছোট ছেলে সিয়াম হকার সবুজের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে সিয়ামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এবং রাতে তার দোকানের পিছনে লাশ ঘুম করে পালিয়ে যায়। হত্যাকারীকে আটক করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সিয়ামের বাবা।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিকে আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।