লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের দৌলতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের একমাত্র প্লাটফর্মটি দীর্ঘদিন ধরে একশ্রেণির অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা দখল করে রেখেছে। স্টেশন প্লাটফর্মটিকে মাছের আড়ৎ বানিয়ে নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য। এ যেন দেখার কেউ নেই!
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লাকসামের ব্যবসা বাণিজ্যর প্রানকেন্দ্র দৌলতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। স্টেশনের প্লাটফর্ম ঘেঁষেই রয়েছে একটি বিশাল কাঁচাবাজার। ওই সুবাদে একশ্রেণির অসাধু মাছ ব্যবসায়ী প্লাটফর্মের উপরেই বিভিন্ন মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছে। ফলে লাকসাম-নোয়াখালী ও নোয়াখালী-লাকসাম অঞ্চলে ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা প্লাটফর্ম দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে প্লাটফর্মের উপর মাছের নোংরা পানি ফেলার কারণে অনেকে পা পিচলে পড়ে আহত হতেও দেখা গেছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন এই রেলপথে ঢাকা-নোয়াখালী ও নোয়াখালী-ঢাকা অভিমুখে দুই জোড়া ট্রেন এবং লাকসাম-নোয়াখালী ও নোয়াখালী-লাকসাম অভিমুখে আরও এক জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে একটি আন্তঃনগর, একটি মেইল ও একটি লোকাল ট্রেন।
অপরদিকে, প্লাটফর্মের উপরে অবৈধভাবে মাছের ঢালা বসানোর ফলে ট্রেনে উঠাতে নামতে গিয়ে যাত্রীরা যে কোন সময়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার সকালে মাছ কিনতে আসা এক নারী জানান, ট্রেন আসলে যে কোন সময় বিপদ হতে পারে। তখন এর দায় দায়িত্ব নেবে কে।
সামছুল হক নামে এক পথচারী জানান, মাছের নোংরা পানিতে সয়লাব এই প্লাটফর্ম। সেঁত সেঁতে এই জায়গাটিতে অনেকে পা পিচলে পড়ে আহত হয়েছে। প্লাটফর্মের উপর থেকে এসব মাছের দোকানগুলো উঠিয়ে দেয়া উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, রেলওয়ের লোকদের টাকা দিয়ে ওইসব দোকানিরা প্লাটফর্মের উপর এভাবে মাছের দোকান বসিয়ে প্লাটফর্মটিকে আড়ৎ বানিয়ে ফেলেছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। এগুলো দ্রুত উচ্ছেদ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার সকালে দৌলতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে কর্তব্যরত কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিটি রুমে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। ফলে কারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।