খালিদ হাসান রিংকু, কুষ্টিয়া:
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন। গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই চলছে আলোচনা, উঠছে চায়ের কাপে ঝড়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই আবার সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে দাড়িয়েছে আগামী উপজেলা নির্বাচন। সেই সাথে চলছে রাজনৈতিক মহলে নানান হিসাব নিকাশ।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করার কথা। এ নিয়ে নবীন ও প্রবীণ সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছে নিজেদের প্রচার প্রচারণা। এ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকেরা ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পোষ্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় বিভিন্ন জনের নাম আসলেও আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে সবার শীর্ষে রয়েছে ক্লিন ইমেজখ্যাত তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা এ্যাড, হাসানুল আসকার হাসু । ইতিমধ্যে তিনি দৌলতপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গনসংযোগ করছেন। তার পরিবার প্রায় চার দশক ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
এ্যাড, হাসানুল আসকার হাসু আওয়ামীলীগের অন্যতম অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দ্বায়িত্বপালন করেছেন ।
এ ছাড়াও আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে বিএনপি জামায়াতের বিভিন্ন প্রকার হামলা ও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন বারবার। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এ নেতাকেই আসন্ন নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। দৌলতপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে তিনি প্রার্থী হয়েছেন । বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী, সৎ সাহসী নীতি ও আদর্শবান বঙ্গবন্ধুর এক লড়াকু সৈনিক, ধার্মিক, সদা হাস্যউজ্জ্বল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক এ্যাড, হাসানুল আসকার হাসু।
দৌলতপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রকৃত অর্থে উন্নত, আধুনিক, শান্তি – সিমৃদ্ধির আবাসস্থল হিসাবে গড়ে তুলতে তার রয়েছে দৃঢ় অঙ্গীকার ।
তিনি বলেন, মানুষের শাসক নয়, সেবক হতে চায়। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই । ভবিষ্যতেও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা করে দৌলতপুর উপজেলাকে অব্যাহত রাখতে চাই এবং সকলের প্রতি যতটুকু সম্ভব সাহায্যে সহযোগিতা করার জন্য আমার প্রচেষ্টার কোন কমতি নেই।
এ্যাড হাসানুল আসকার হাসু আরো বলেন, ব্যাক্তি উদ্যেগে মানুষের কল্যাণ সবসময় কাজ করা সম্ভব। সর্বাত্মকভাবে সমাজের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিকল্প নাই ।
বিশেষ করে সরকারী অনুদান তৃণমূলের সর্বস্তরের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন করা সম্ভব হয়। তাই আসন্ন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে আমি এলাকায় কাজ করছি। আমার দৌলতপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডকে, চাঁদাবাজ,মাদক, কিশোর গ্যাং, ভূমিদস্যু, সালিশ বানিজ্য, যৌতুক, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং মুক্ত, সমাজ গঠনের লক্ষে,দৌলতপুর উপজেলাকে একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই সকলের সহযোগিতা । দৌলতপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন ও দোয়া চাই ।