কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের ন্যায় নওগাঁর আত্রাইয়ে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা প্রশাসন, সরকারী-আধাসরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উপজেলা শহীদ মিনারে একত্রিত হয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ ও একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে সরকারী আধা সরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে সকাল আট টা ত্রিশ মিনিটে উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আত্রাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান প্রামানিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আত্রাই থানা অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) মোঃ জহুরুল হক, আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শ্রী নীপেন্দ্র নাথ দত্ত দুলাল।
অনুষ্ঠানে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, স্কাউট,স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রর্দশনী করা হয়। সকাল এগারোটার সময় উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংর্বধনা দেওয়া হয়।
উক্ত সংর্বধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জিতা বিশ্বাস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান প্রামানিক।
আত্রাই থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ জহুরুল হক, আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শ্রী নীপেন্দ্র নাথ দত্ত দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্কাছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ- সভাপতি ও নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, আত্রাই উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা সাবেক কমন্ডার বীর মুক্তি যোদ্ধা আব্দুল মালেক মোল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান বুলু,বীর মুক্তি যোদ্ধা নীরেন্দ্র নাথ দাশ প্রমূখ।
বাদ যোহর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্নার মাগফিরাত কামনা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য, দেশ ও জাতির কল্যানে শান্তি কামনা করে উপজেলার সকল মসজিদ, মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।
এ ছাড়াও উপজেলা হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।