একেএম কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সাহেবগঞ্জ পালপাড়া শ্রী শ্রী সাবজনীন দূর্গা মন্দিরেএই কুমারীহয়। সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে কুমারী পূজা দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনাথী ভিড় করেন এখানে। সকাল সাড়ে এগারো দিকে কুমারী শিশুকে নতুন কাপড় পড়িয়ে দেবীর সাজে সজ্জিত করে কুমারী মন্দিরে বসানো হয়। সেখানে দেবীর পূজা শুরু করেন পুরোহিতরা। পূজা শেষে ভক্তবৃন্দের জন্য দেবীকে বসিয়ে রাখা হয়।
শ্রী শ্রী সার্বজনীন মন্দিরে দূর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বরুন কুমার সরকার বলেন, এবার দেবী দূর্গার কালসন্ধদর্ভা রুপে পূজা করা হয় কুমারী মেয়ে সাধনাকে। সাধনা আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী হরিজন এলাকার মেয়ে। সে মোল্লা আজাদ ডিগ্রী কলেজে পড়ে।
তিনি বলেন, শাস্ত্রে আছে ভগবান জীবাত্না রুপেসব জীবের মধ্যে বিরাজমান। কুমারী পুজাটি স্বামী বিবেকানন্দ প্রচলন করেন। নারীকে দেবী জ্ঞানে সেবা করা, যাতে তাদের শ্রদ্ধা করা,যাতে তাদের শ্রদ্ধার আসনে রাখা হয়, সে জন্য কুমারী নারীর পূজা করা। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী স্বপন কুমার দত্ত,বলেন, সনাতন ধর্মে নারীদের দেবী রুপে সন্মান জানিয়ে পূজা করে আসছে। তারই একটিঅনুসঙ্গ হচ্ছে শারদীয় পূজার এই কুমারী পূজা। কুমারী পূজার মাধ্যমে আমরা সবাইকে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাইযে, নারী কখনোই পিছনে থাকতে পারে না। নারীরা দেবী শক্তি,নারী অসুর বিনাশী, নারীরা জাগলেই পুরো বিশ্ব জাগবে এবং সমগ্র বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, মূলত এক বছর থেকে ষোল বছর বয়সের কন্যা শিশুকে দেবী রুপে পূজা করা হয়ে থাকে এবং প্রতি বছরই দেবীর আলাদা আলাদা নাম নিয়ে এই পূজা করা হয়। সনাতন ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে কুমারী পূজার মাধ্যমে দেবী দূর্গার কাছে আরাধনা করলে দেবী সেটা পূরণ করেন।