ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারে স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী (হান্টু), বড়িকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য মো. মজনু সরকার, বড়িকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী আহসান উল্লাহ, বড়িকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আশকর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন, বড়িকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ এমদাদ হোসেন, সলিমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান সহ আরো অনেকেই।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, গত ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় একটি কুচক্রী মহল পূর্ব শত্রুতার জেরে টাকার বিনিময়ে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের মো. ইশতিয়াক, ডাঃ মোঃ নোয়াব আলী, মামুনুল ইসলাম সরকার, আমিরুল ইসলাম সরকার ৪ জনকে এই মামলায় আসামি করেন। সলিমগঞ্জ থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে অন্য জেলার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাদের নাম জড়িয়ে দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সহ অনতিবিলম্বে এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া ও চক্রান্তকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। এই মামলার আসামি আমিরুল ইসলাম সরকার (নবী সরকার) জানান, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের দিন আমি সহ এ মামলার ৪ জন আসামি সলিমগঞ্জ বাজারে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই ছিলাম। এছাড়াও উক্ত দিন এ মামলার বাদী সুফিয়া বেগম সলিমগঞ্জ বাজারে অবস্থিত আমাদের মেঘনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনা জানার পর নারায়ণগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে নিহতের লাশ বাড়িতে আনার জন্য আমরা সকলেই ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহয়তা প্রদান করি। পরে জানতে পারি হত্যাকাণ্ডের প্রায় তিন মাস পরে আদালতে দায়েরকৃত মামলায় একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ও প্রলোভনে পরে আমাদেরকেও এই মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা জানার পর বাদী সুফিয়ার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যার্থ হয়। বাদী সুফিয়ার মায়ের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, তার মেয়ে সুফিয়া মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অচেনা নাম্বার থেকে কল করে কথা বলেন। এদিকে আমরা গ্রেফতার আতংকে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছি।