মো. মোস্তফা খান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
“রায়পুরা থেকে বিএনপির কোনো লোক ঢাকায় যেতে পারবে না” সম্প্রতি নরসিংদী-৫ রায়পুরা আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর এমন বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বক্তব্যটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল।
বেসরকারী টেলিভিশন ডিবিসির ইলেকশন এক্সপ্রেস এর সাক্ষাৎকার শেষে বুধবার সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে বক্তব্যটির নিন্দা জানিয়ে আগামী নির্বাচনে আশরাফ প্রার্থী হলে এমপি রাজুর জামানত বাতিল হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপিকে উদ্যেশ্য করে তিনি বলেন, উনার মত সিনিয়র একজন নেতার কাছ থেকে এই ধরনের বক্তব্য আমরা কখনোই আশা করি না। আমরা সবাই গণতান্ত্রিক প্রেমী।
এমপি রাজু গত নির্বাচনে ১২ টি ইউনিয়নে নৌকাকে ডুবিয়েছেন এমন মন্তব্য করে আশরাফ আরোও বলেন, রাজি উদ্দিন রাজু সাহেব যদি ভালো কাজ করে থাকেন তাহলে উনার ভয় কোথায়? উনি প্রত্যেকটি নির্বাচনে কারচুপি করেছেন। একেকবার একেক কায়দায় কারচুপি করেছেন। আপনি সিনিয়র নেতা, আপনাকে আমরা সম্মান করি, আপনি যদি মনে করেন আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ তাহলে দয়া করে আপনি অবসরে যান। আমাদেরকে গণতান্ত্রিকভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার উদ্ধারের জন্য কাজ করতে দেন। আগামীদিনে জনগনের পাশে দাড়ানোর জন্য কাজ করুন, বেকারত্ব মোচন করুন, দলের স্বার্থে কাজ করুন এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করুন। তাহলে মানুষ আপনাকে শেষ বয়সেও শ্রদ্ধা এবং সম্মান করবে বলে আমি আশা করি। শেষে তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলায় কয়েকদিনের ভিতর ৪৮ জন স্বাক্ষী দিয়েছেন, মামলার রায় দিয়েছেন। অথচ সাগর-রুনির হত্যার মামলা আজকে কতবার পিছিয়েছে সেটার রায় হয়না।
এসময় রায়পুরা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হযরত আলী ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন সহ উপজেলা বিএনপির ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও অগ্নি সস্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নরসিংদী-৫ রায়পুরা আসনের সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু তার বক্তব্যে বলেন, রায়পুরা থেকে বিএনপি’র কোন নেতা ঢাকায় যেতে পারবে না। তাদের প্রতিহত করো। কেউ যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে বিএনপি নেতারা আমাকে উপজেলাতে আক্রমন করেছিলো, আমার দিকে গুলি ছুঁড়েছিল। আমার গাড়ি ভাঙচুর, আমার ভাইদের উপর অত্যাচার করেছিলো, নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছিল। তাদের হাত থেকে কেউ ছাড় পায়নি। আমরা ভদ্রলোকের রাজনীতি করি, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না বলেই ২০০৮ সালের পরে আমরা কিছু বলি নাই। কিন্তু এবার যদি এদিক ওদিক হয় আমরা কিন্তু কাউকে ছাড় দিবো না।