নরসিংদীপ্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশে ঘরে ঢুকে দেলোয়ারা বেগম (৬০) নামের এক গৃহিনীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামী মঞ্জুরুল ইসলাম বিজু (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তার হওয়া মঞ্জুরুল ইসলাম বিজু সদর উপজেলার চিনিশপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মাইন উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
এর আগে রোববার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার দগরিয়া এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় লুট হওয়া নিহতের স্বর্ণের কানের দুল, নাকফুল, লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনসহ হত্যায় ব্যবহৃত বটি জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গৃহিনীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তদন্তের পর জড়িত আসামী গ্রেপ্তারে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে সদর উপজেলার দগরিয়া এলাকা হতে হত্যায় জড়িত আসামী মঞ্জুরুল ইসলাম বিজুকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বিজু।
এসপি বলেন, অন্য পৃথক মামলায় জেলা কারাগারে থাকাবস্থায় নিহত দেলোয়ারা বেগমের ছেলে নাদিম মিয়ার সাথে মঞ্জুরুল ইসলাম বিজুর পরিচয়। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে নাদিম মিয়ার বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল আসামী বিজুর। মোটা অংকের নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটের পরিকল্পনা থেকেই গৃহিনী দেলোয়ারা বেগমকে বাড়িতে একা পেয়ে খুন করে পালিয়ে যায় মঞ্জুরুল ইসলাম বিজু। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুট হওয়া নিহতের স্বর্ণের কানের দুল, নাকফুল, লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনসহ হত্যায় ব্যবহৃত বটি জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে নিজ ঘরের খাটের ওপর হতে পলাশ উপজেলার চরনগরদী গ্রামের মৃত মালেক দেওয়ানের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসময় নিহতের ছেলে নাদিম মিয়া সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছিলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচা সাহেব মিয়া ও তার লোকজন নাদিম ও তার মাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এই বিরোধের জেরে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে।