নরসিংদী প্রতিনিধি :
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খানকে বাসায় ঢুকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
আজ শনিবার সকালে শিবপুর থানার ১’শ মিটার পূর্বদিকে নিজ বাসভবনে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা তাকে পরপর তিন রাউন্ড গুলি করে। গুলিগুলো তার পিঠে লেগেছে বলে জানা গেছে। গুলির শব্দ শুনে বাসার ও আশপাশের লোকজন দ্রুত বের হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে শত শত নেতাকর্মী শিবপুর থানা ঘেরাও করে। শহরের বিভিন্ন সড়কে টায়ার ও কাঠে আগুন লাগিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ নিন্দা জানাচ্ছেন।
এ ছাড়া ঢাকা মনোহরদী সড়কের শিবপুর কলেজ গেট, শিবপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেড দেয়। এতে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শত শত উত্তেজিত নেতাকর্মী পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে ‘হারুন খার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ স্লোগান দিয়ে মিছিলে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো শিবপুর। স্থানীয়রা জানায় পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।
তার প্রতিবেশী ও শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুলু আলম ভূঞা রাখিল জানান, ভবনের তিন তলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। সেকেন্ড ফ্লোরে প্রাইম ব্যাংকের কার্যালয়। প্রধান ফটকে কেচি গেট এবং বাড়িটি সিসি ক্যামরার আওতায় রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংকেরও সিসি ক্যামেরা রয়েছে। থানার অতি সন্নিকটে এমন একটি সুরক্ষিত স্থানে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ও গুলিবর্ষণের ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো জেলাজুড়ে।
শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, মসজিদের জন্য টাকা চাইলে চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই কেচি গেট খুলে দেন। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা তারা পীঠের মধ্যে তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই রবিউল আওয়াল কিরন খানকেও এরশাদ সরকারের আমলে সন্ত্রাসীরা গুলি নৃশংসভাবে করে হত্যা করেছিলো।