শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

বেলাবতে হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে কুপিয়ে হত্যা

Reporter Name / ১২৫ Time View
Update : শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

মোঃ বাদল মিয়া, বেলাব থেকে:

নরসিংদীর বেলাবতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২দিকে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খামারেরচর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিনি একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিলেন।
নিহত মো. কবির হোসেন (৪৫) বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খামারের চর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে কবির হোসেন স্থানীয় বারৈচা বাজারে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করতেন।

নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত কবির হোসেন বারৈচা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে ডেকে কিছু একটা বলেন এবং তাকে নিয়ে বের হয়ে যান। এই ঘটনার প্রায় ৩০ মিনিট পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন খামারের চর এলাকায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় কবির হোসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তারা। এতে তার মাথা থেঁতলে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় লাশের পাশ থেকে একটি গুলির খোসাও কুড়িয়ে পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে দ্রুত নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বেলাব থানার পুলিশকে খবর দেয়।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাফায়েত হোসেন পলাশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ তার লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন ইউপি সদস্য রিনা বেগমের ছেলে সোহরাব ওরফে মুসাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী ছিলেন কবির। হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ অক্টোবর গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে অপরাধী তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সম্প্রতি তিনি আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফেরেন।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা ও একটি ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ সাফায়েত হোসেন পলাশ জানান, নিহত ব্যক্তি হত্যামামলার আসামী ছিলেন। তাকে কে বা কারা ঠিক কি কারণে হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল