জাহিদ হাসান, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া):
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি ব্যাংকে নকল রেমিট্যান্স পেমেন্ট স্লিপ (রিয়া) তৈরি করে ব্যাংক থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এসময় দুই জন পালিয়ে গেলেও তিনজন প্রতারককে আটক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন মাদারীপুর জেলার মো. মামুন (৪৯) মিরাজ (২০), সাইমন (৪০)।
জানাগেছে, পাঁচ সদস্যের প্রতারক চক্র সংশ্লিষ্ট অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে দুটি জাল রেমিট্যান্স পেমেন্ট স্লিপের মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বোকা বানিয়ে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০টাকা উত্তোলন করে নিয়ে পালিয়ে যায়। চক্রের আরেকটি অংশ আবারও একটি স্লিপ জমা দিলে ক্যাশিয়ারের সন্দেহ হয়। পরে জাল হিসাবে ধরা পরে। এসময় ধাওয়া করে প্রতারক চক্রের ৩ জনকে আটক করা হয়।
ব্যাংকটির প্রিন্সিপাল অফিসার ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স পেমেন্ট ভাউচার নকল করে বানিয়ে দুইটা ভাউচার দিয়ে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করে। এসময় ওই চক্রের সদস্যরা আবার টাকা উত্তোলন করতে আসলে ক্যাশিয়ারের সন্দেহ হয়। তখন আমাকে দেখালে এটি জাল পেমেন্ট ভাউচার ও এরা প্রতারক বুঝতে পেরে তাদের ধরতে ধাওয়া করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা তাদের মধ্যে তিন জনকে আটক করে। দুইজন আগেই টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে গেছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, গোলাপনগর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় নকল রেমিট্যান্স পেমেন্ট স্লিপ তৈরি ক্যাশ কাউন্টার থেকে দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন এ প্রতারক চক্রটি। তাদের মধ্যে তিনজনকে উপস্থিত জনতা আটক করে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে হেফাজতে নেয়। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক ইদ্রিস আলী বলেন, নকল রেমিট্যান্স পেমেন্ট স্লিপ তৈরি ক্যাশ কাউন্টার থেকে দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। আবার জমা দিলে তখন সন্দেহ হয় ও ধরা পড়ে। পাঁচ সদস্যের প্রতারক চক্রের মধ্যে ৩ জনকে আটক করে থানায় দেওয়া হয়েছে।