ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহে ফয়সাল (২৫) নামের এক ছেলের কোমরের ব্যাল্টের আঘাতে জুলকাস উদ্দিন (৫২) নামের এক পিতার মৃত্যু হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ছেলে ফয়সাল পলাতক রয়েছে।
৩০ মার্চ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কালিবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটনা। নিহত জুলকাস উদ্দিন নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া নেয়ামত মন্ডলের বাড়ির ফয়জুদ্দিনের ছেলে। জুলকাস দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে কালিবাড়িতে বসবাস করতেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, নিহত জুলকাস দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সে দুই ছেলেসহ (সৎ) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের খোরশেদা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে সে খোরশেদা খাতুনের বাড়িতে বসবাস করতেন। খোরশেদা খাতুনের ঘরে জুলকাসের ঔরসজাত কোন সন্তান ছিল না। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৪ মেয়ে আছে। তারা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া নেয়ামত মন্ডলের বাড়িতে বসবাস করেন। নিহত জুলকাস ওয়েল্ডিং’র দোকানে মিস্ত্রী হিসাবে কাজ করতেন। সেখান থেকে জুলকাস ৭০ হাজার টাকা পান। ঘটনার দিন সকালে খোরশেদা খাতুনের ছোট ছেলে মায়ের কাছে ঐ ৭০ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মারধর করার হুমকি দেয়। তখন জুলকাস ঘর থেকে বের হয়ে বলে তোর মা’কে না মেরে পারলে আমাকে মার। তখন ফয়সাল কোমরের বেল্ট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঐ আঘাত কানের উপরে লাগে। এরপর জুলকাস হেঁটে কয়েকগজ গিয়ে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় সুযোগ বুজে ফয়সাল পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ(মমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াসিম কুমার বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাবা ছেলে দু’জনই মাদকাসক্ত ছিল। ছেলে ফয়সালের নামে আগের আরও দুটি মামলা রয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে ছেলে ফয়সাল পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।