ফাহিম আহমেদ খান, স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদীর রায়পুরায় বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে উত্তরবাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ এর বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘোষনা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ইউনিয়নের ১০ জন ইউপি সদস্য।
সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের বড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সকলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য সোহাগ আহমেদ।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-১০০% এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন এর ৩৯ ধারা এবং ৩৯ এর (১) থেকে ৩৯ এর (১৫) এ উপধারা অনুযায়ী উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ এর বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব জ্ঞাপন করছি। বর্তমানে তার অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা তার ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতার রোশানলের স্বীকার হয়েছে। তিনি পরিষদে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে তার ব্যক্তিগত লোক দিয়ে অবৈধভাবে করে থাকে। এর আগে কয়েকবার এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উনি তা আমলে নেননি। চেয়ারম্যান তার ভাগিনাকে দিয়ে অত্র ইউনিয়ন ও রায়পুরা উপজেলার অন্যন্যা ইউনিয়নের লোকদের কাছে ভূয়া সনদের ব্যবসা করে আসছে। একই ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ তৈরি, বয়স বাড়ানো-কমানো, ভুয়া ঠিকানায় পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে বাল্য বিবাহের সহায়তা করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। এছাড়া বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ডের জন্য সরকারি অফিসের নামে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অত্র ইউনিয়নে গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ এর ৫ ধারা লঙ্গন করে তার পছন্দের লোকদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক ভাবে গ্রাম আদালতের বিচার কাজ করে থাকে। সরকার কর্তৃক টি.আর, কাবিখা বরাদ্ধে আংশিক কাজ দেখিয়ে বাকি টাকা লুটপাট করেছে। বার বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী অদ্যাবদী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেননি। চেয়ারম্যানের দূনীর্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ কার্যকলাপের দরুন আমরা কিছুই করতে পারছি না। এমনকি ইউনিয়নবাসী তার যাবতীয় কার্যকলাপে খুবই ক্ষুব্ধ।
এমতাবস্থায় উল্লেখিত কারণে ও অনান্য জটিল কারণে আমরা পরিষদ সদস্য, সদস্যাগণ উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদান করিলাম।
শেষে তারা উপরোল্লিখত বিষয়ের উপর তদন্ত স্বাপেক্ষে ইউপি চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করেন। এর আগে ১নং ওয়ার্ডের মো. রানা, ২নং ওয়ার্ডের শব্দর আলী, ৩নং ওয়ার্ডের আসাদুল, ৫নং ওয়ার্ডের সোহাগ আহমেদ, ৬নং ওয়ার্ডের জলিল মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডের রহমত আলী, ৮নং ওয়ার্ডের মো. শিশু মিয়া ও ৭,৮ ও নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মনিরা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রটি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের বরাবর আবেদন করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।