রায়পুরা (নরসিংদী) সংবাদদাতা:
নরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সিএনজি থামিয়ে ভাসুর ও ভাতিজাকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করেছেন সানজিদা আক্তার রুনা নামে এক নারী।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৭টায় রায়পুরা পৌর শহরের শ্রীরমপুর সানরাইজ পাবলিক স্কুলের সামনে রায়পুরা-বারৈচা আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত সানজিদা আক্তার রুনাকে (৪০)কে গ্রেপ্তার করে। তিনি একই এলাকার মো. হিরণ মিয়ার স্ত্রী। আহতরা হলেন, পৌর শহরের শ্রীরামপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আসাদ মিয়া (৫০) ও সরুজ মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩২)।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, সন্ধ্যায় আহত দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তারে মধ্যে আসাদ নামে এক ব্যক্তির ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষণ হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অপরজন এক হাতে আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি।
আহত সবুজ মিয়া জানান, জমি নিয়ে দীর্ঘ ধরে চাচা হিরণ মিয়ার স্ত্রী সানজিদা আক্তার রুনার সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকালে ক্রেতাদের সঙ্গে একটি দোকানের জমি বিক্রির কথা বলার জন্য রায়পুরা আসেন তিনি ও তার চাচা আসাদ মিয়া। সন্ধ্যায় কাজ শেষে রায়পুরা বাজার থেকে একটি সিএনজি করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফিরছিলেন তাঁরা। পথে শ্রীরামপুর সানরাইজ পাবলিক স্কুলের সামনে রাস্তায় তাদের বহনকারী সিএনজি থামিকে আসাদ ও সবুজকে দাড়ালো দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন সানজিা আক্তার রুনা। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ওই নারীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে।
রায়পুরা পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হোসেন জানান, জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে পৌর মেয়রের অফিসে সালিস বসিয়েও সমস্যা সমাধান করা যায়নি। গতকাল সন্ধ্যায় কাজ শেষে রায়পুরা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আসাদ ও তার ভাতিজা সবুজ। পথে শ্রীরামপুরে তাদের বহনকারী একটি সিএনজি থামিয়ে দুজনকে কুপিয়ে জখম করে রুনা।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, দুজনকে কোপানোর ঘটনায় অভিযুক্ত নারীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।