নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী:
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজীব মিয়ার লোকজনের দেওয়া আগুনে বসত ঘর ও দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, গরু, হাঁস, মুরগী এবং দোকানের মালামালসহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামে এ অগ্নিকান্ড ও হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন এর স্ত্রী জেসমিন বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার স্বামী বিল্লাল রাজীব এর পক্ষে নির্বাচন না করায় রাজিব মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে ১৫ দিনের হাজত বাস করান। পরে সে বিদেশ চলে যায়। ছুটিতে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসলে রাজীবের নির্দেশে তার লোকজন আমার স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রাজীবের নেতৃত্বে তার লোকজন লোক দা, ছুরি, কুড়াল, চাপাতি, টেঁটা, কেরোসিনের বোতল নিয়ে আমার ঘরে ও দোকানে আগুন দিয়ে আমাকেও পুড়ে মারতে চেয়েছিল দূর্বৃত্তরা।
শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিল্লাল হোসেনের বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ফ্রিজ, ঘাট, আলমারি, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বাড়ির বাইরে অবস্থিত দোকান ঘরও রক্ষা পায়নি দুর্বৃত্তদের হাত থেকে। লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দিতে পিছপা হয়নি দর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। থেমে থেমে রাজীব সমর্থকদের ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ কানে ভেসে আসছিলো।
এলাকাবাসী জানায়, রাজীবের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাজীব আহমেদ নরসিংদী জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এ বিষয়ে জানতে রাজিব আহমেদ এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো। পরবর্তি সহিংসুতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।