সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
কোহিনুর প্রীতি, লাকসাম (কুমিল্লা):
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথম দিনে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবার লাকসাম উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬’শ ৯৬ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩ হাজার ৬’শ ১৯ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষার প্রথম দিনেই ৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়াল জানান, লাকসাম উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরে নবাব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়, লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দৌলতগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা এবং পৌর এলাকার বাহিরে মুদাফরগঞ্জ আলী নোয়াব উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মুদাফরগঞ্জ এ.ইউ ফাজিল মাদ্রাসা।
তিনি আরো জানান, লাকসাম উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২ হাজার ৫’শ ৬৭ জন। এতে অংশগ্রহণ করেছে ২ হাজার ৫’শ ২৪ জন এবং ৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। দাখিলে পরীক্ষার্থী ছিল ৯৩৩ জন। এতে অংশগ্রহণ করেছে ৯০৫ জন এবং ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
এছাড়াও ভোকেশনালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৯৬ জন। এতে অংশগ্রহণ করেছে ১৯০ জন এবং ৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। তবে পরীক্ষার প্রথম দিনে কোন শিক্ষার্থী বহিস্কার হয়নি।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা মতিন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের পূর্বে এবং পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য সকলের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের চারপাশে ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেন তিনি। এর আগে পরীক্ষা নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সকল ধরণের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ সময়ে কোন কোচিং সেন্টার খোলা পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারিও দেন ইউএনও।
এদিকে, সকালে বৃষ্টির মধ্যে দুর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা পড়েছেন মারাত্মক বিড়ম্বনায়। অনেকে ভিজে পোশাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে অস্বস্তিবোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষা ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী।