নাসিম আজাদ, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সনদ ছাড়াই ডাক্তার পরিচয় ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ৪ ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব ১১।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন। এর আগে সোমবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পলাশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই চার ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়।
তারা হলেন, শীতল চন্দ্র দাশ (৬০), মো. কামরুজ্জামান (৫৮), মো. কাইয়ুম মিয়া (৩০) ও মো. আমিনুল ইসলাম (৫৪)।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন পলাশের বিভিন্ন স্থানে সনদ ছাড়াই ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘোড়াশাল বাজারের স্বপ্ন মেডিকেল হল, খিলপাড়ার পুবালি জুট মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন জাকারিয়া ফার্মেসী, চরনগরদী বাজারের জাহাঙ্গীর মেডিকেল হল ও গ্রামীণ ড্রাগস নামের চারটি ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সনদ ছাড়াই ডাক্তার পদবী ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এসব ফার্মেসি থেকে শীতল চন্দ্র দাশ, মো. কামরুজ্জামান, মো. কাইয়ুম মিয়া ও মো. আমিনুল ইসলাম নামের চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি স্টেথোস্কোপ, ২টি ব্লাড প্রেসার মাপার মেশিন, একটি নেবুলাইজার মেশিন, একটি ওজন মাপার যন্ত্র, একটি প্রেশার মাপার যন্ত্র, ৫ পাতা প্রেসক্রিপশন, ৪২টি ভিজিটিং কার্ড, ৩৬টি প্রেসক্রিপশন প্যাড, একটি থার্মোমিটার, ৩টি মুঠোফোন, ৪টি সিমকার্ড ও রোগী দেখার নগদ ৯ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব বলছে, অভিযানের সময় তারা বিএমডিসি অথবা বিডিএস কর্তৃক অনুমোদিত কোন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। তারা নিজেদের উদ্যোগে চেম্বার পরিচালনা করে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করছিলেন। তাদের কারও কারও কাছে আর্টস গ্রুপে এসএসসি ও এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেট রয়েছে। তারা একাডেমিক সার্টিফিকেটধারী কিংবা নিবন্ধনকৃত ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার নামীয় চিকিৎসা প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করে নিজেদেরকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন।
র্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, অভিযানের সময় আটক ওই চার ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে পলাশ থানায় মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১০ এর ২৮(৩)/২৯(২) ধারায় মামলা হওয়ার পর তাদেরকে পলাশ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।