নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা জেলার সাভারে কর্মরত বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের নামে রটনা সহ ভুল ও মিথ্যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে কিছু কুচক্রী মহল।
কখনো ফেইক আইডি বা ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে সম্মানহানিরকর বিভিন্ন মিথ্যে অপপ্রচার করে চলছে। এমনি এক ঘটনার শিকার হয়েছে সাভারে কর্মরত ৩ জন সংবাদকর্মী। ভোরের খবর পত্রিকার চিফ রিপোর্টার কেএম সবুজের নামে প্রথমে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে চে গুয়েভারাভারা ও বিদ্রোহী কমরেড নামীয় ফেক আইডি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আসছিলো। সেই সাথে অনিবন্ধিত বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল নিজেরা তৈরি করে সেখানে মিথ্যে সংবাদ প্রচার করে প্রকৃত সাংবাদিকদের মান ক্ষূন্যে সচেষ্ট।
এমন একটি অপ্রত্যাশিত নিউজ পোর্টালের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন দৈনিক বাংলা ৭১ এর ষ্টাফ রিপোর্টার প্রদীপ ঘোষাল ও দৈনিক সকালের সময়ের ঢাকা জেলা প্রতিনিধি ইমাম হোসাইন।
গত রবিবার(২৫ জুন) বিকেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাভার মডেল থানায় তারা পৃথক দুইটি সাধারন ডায়েরী করেন। যাহার নং ১৮৯১ ও ১৮৯৩।
সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন দুপুর ১ ঘটিকায় দৃষ্টি গোচর হয় দৈনিক নতুন দিগন্ত নামীয় অনলাইন পোর্টালে আশুলিয়ায় জিয়া সাইবার ফোর্সের এজেন্টরা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয় নামক সংবাদ প্রচারে গনমাধ্যমে কর্মরত কে এম সবুজের নাম এবং ছবি ব্যাবহার করা হয়। যে পোর্টাল টি থেকে সংবাদ প্রচার করা হয়েছিলো সেটির প্রকাশক এবং সম্পাদক উল্লেখ করা হয় দৈনিক সকালের সময় ঢাকা জেলা প্রতিনিধি ইমাম হোসাইনের নাম এবং নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে উল্লেখিত দৈনিক বাংলা ৭১ এর ষ্টাফ রিপোর্টার প্রদীপ ঘোষাল (তপু)। সাধারন ডায়েরিতে তারা উল্লেখ করেন এ নামসর্বস্ব নিউজ পোর্টাল কে বা কাহারা ক্ষতি সাধনের লক্ষে তাদের নাম জড়িয়ে এমন কার্যকালাপ করে চলছে, নিরাপত্তা ও অপপ্রচার রোধে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে দোষীদের শাস্তি কামনা করেন তারা।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) সাব্বির আহমেদ বলেন, দুজন সংবাদ কর্মীর সাধারন ডায়েরির ব্যাপারে জানতে পেরেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে প্রদীপ ঘোষাল (তপু) বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সাভার ও আশুলিয়ায় সংবাদকর্মী, রাজনৈতিক নেতা, প্রসাশনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যাবহার করে কিছু ব্যাক্তি ফেক আইডি খুলে মিথ্যে ভিত্তিহীন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সকলের সম্মান নষ্ট করছে। শুধু তাই নয় সংবাদ কর্মীদের ভিতর কোন্দল সৃষ্টি করতে বিভিন্ন নামে পোর্টাল খুলে মিথ্যে সংবাদ প্রচার করে চলছে, যা মারাত্মক অন্যায়। তবে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে প্রসাশন ব্যাবস্থা গ্রহন করবে। তা না হলে সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পতিত হবে।