সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মামলা ছাড়া বিনা প্রয়োজনে কেউ এই অঙ্গনে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিবদমান দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছেন। রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছাড়াও হামলার ঘটনা ঘটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে। দুপুরে এই হামলার ঘটনা জানার পরই বিকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে পুরো প্রাঙ্গণকে সিসি টিভির আওতায় আনার পাশাপাশি প্রবেশ ফটকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারপতিরাও নিজেদের মত দেওয়ার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। পরে তারা পুরো প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। এর আগে দুপুরে হামলার পরই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
বৈঠক সূত্র জানায়, দুটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেভাবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারপতিরা।