শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন

দারিদ্র্য ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে: তথ্যমন্ত্রী

Reporter Name / ৫৭ Time View
Update : সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দারিদ্র্য মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের বেশি থেকে এখন ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বে আমরা ৩৫তম জিডিপির দেশ আর পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা পিপিপিতে আমাদের অর্থনীতি হচ্ছে ৩১তম। এখন জিডিপির আকারে মালয়েশিয়ার চেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ আমরা এবং কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের দেশ ২৭তম অর্থনীতির দেশ হবে।

জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (৩এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বিএফডিসি চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে দিবসটির সূচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। এর পরপরই চলচ্চিত্র অঙ্গণের শিল্পী-কুশলীদের সঙ্গে মন্ত্রী র্যালিতে অংশ নেন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। চলচ্চিত্র তারকা রোজিনা, অঞ্জনা, পরিচালক কাজী হায়াৎ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, শিল্পী-কলাকুশলী ও কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দেন।
চলচ্চিত্রের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দিন দিন আমরা উন্নতি লাভ করছি। বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নতির পাশাপাশি মানুষের আত্মিক উন্নতিও প্রয়োজন আর আত্মিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে চলচ্চিত্র। এমন সব সিনেমা বানানো হোক তা যেন মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে পারে এবং তা বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখে, মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে। তাহলে সেই সব সিনেমা বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে, রাষ্ট্রকে জাগ্রত করতে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তরুণ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে, সংস্কৃতির সমস্ত শাখার সন্নিবেশে যা সৃষ্টি হয়, সেটি হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে গান থাকে, নৃত্য থাকে, চলচ্চিত্র সমস্ত শাখার সন্নিবেশ ঘটায়। জাতির পিতা এ সকল কিছু তখনই অনুধাবন করেছিলেন বলেই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এ জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিনেমা হল নির্মাণ এবং পুরনো হল সংস্কারের জন্য সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই দরখাস্ত করেছেন। ইতিমধ্যেই অনেকে সিনেপ্লেক্স চালু করেছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলও চালু হয়েছে। দু’বছর করোনা মহামারির বেড়াজালে আবদ্ধ না থাকলে আরো সিনেমা হল চালু হতো।

হাছান মাহমুদ জানান, চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ ও সংখ্যা দুইই বেড়েছে। এফডিসিতে নতুন দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ চলছে, সেখানে চারটি শুটিং স্পট থাকবে এবং একজন নির্মাতা সেখান থেকে একটা সিনেমা বানিয়ে মুক্তি দিতে পারবে। এছাড়াও চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য নেওয়ায় ১শ’ একর জায়গায় চলচ্চিত্র নির্মাণের সকল সুবিধা সৃজন করা হচ্ছে।

এ সময় নির্বাচন কমিশন থেকে সদ্য পাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। মন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা দেশকে ডিজিটাল করতে পেরেছি। বহু নাগরিক সেবা ও সুবিধা এখন ডিজিটাল। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। কী পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। আমি এই মাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তারা ঘোষণা করেছে যে, ৩০০ আসনেই প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে আমাদের দল দলীয়ভাবে আলাপ আলোচনা করে জানাবে। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবেই যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ইভিএম কেনা আর মেরামতের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে যে বাজেট চাওয়া হয়েছে সেটি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। আজকের পরিস্থিতিতে এই এক বিলিয়ন ডলার খরচ করার যৌক্তিকতা আছে কিনা সে নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।

বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, পরিচালক মতিন রহমান এবং প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

সূত্র: ইত্তেফাক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল