Headline :
প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালো ভেরা নিয়ে এলো মেহজাবীন ও সিয়ামের সাথে ডান্স চ্যালেঞ্জ মেঘনার কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান রায়পুরায় উপজেলা নির্বাচন ঘিরে মতবিনিময় সভা রায়পুরায় জোড় পূর্বক জমি থেকে গাছ-বাঁশ কর্তন ও জমি দখলের অভিযোগ পলাশ লোহ’র গাওয়া ও সুরে ঈদে রিলিজ হওয়া ৮ টি গানই সফল; আসছে নতুন চমক বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা রায়পুরায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত রায়পুরাকে দূর্নীতিমুক্ত রাখতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন নতুন ইউএনও নওগাঁর আত্রাইয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত ডিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারে বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

ভৈরবে সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

Reporter Name / ৯১ Time View
Update : রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩

ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ভৈরব উপজেলা ৭বটি ইউনিয়নের গ্রামেই ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়েছে সরিষার। তবে উপজেলার আওয়াল কান্দ, কালিকাপ্রসাদ, আগানগর,সাদেকপুর, শ্রীনগর,শিমুল কান্দি, ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ করেছে স্হানীয় কৃষকরা। যদি অনুকূল আবহাওয়া থাকে তাহলে সরিষার ফলন ধানের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। তারা সরিষা ঘরে তুলেই ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে শুরু করবেন। এখন এসব এলাকার চাষিরা সরিষার পরিচর্যা নিয়ে ব্যাপক সময় পার করছেন। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ করতে পারলেই কৃষকদের চিন্তা দূর হবে।

চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে সরিষার। আবহাওয়া অনুকূলে তারপরও দুঃচিন্তায় প্রহর গুনে দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। গত মৌসুমের তুলনায় এবার অনেক বেশি সরিষার আবাদ হচ্ছে ভৈরব উপজেলা জুড়ে। কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও টরি ৭, বারি ১৪, বীনা ৯ সহ কয়েক জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

আগানগর এলাকার কৃষক জালাল উদ্দীন জানান, জমি তৈরি করা থেকে ফলন ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ৫ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে এসব জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ সরিষার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। তবে এবার বাজারদর বেশি পাওয়ার আশা করছেন অনেকেই।

একাধিক কৃষক জানান, অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা আবাদে তেমন শ্রমের প্রয়োজন হয় না। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ফসল ঘরে তোলার জন্য পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারী, বৃদ্ধ ও শিশু সদস্যরাও নিয়মিতভাবে কাজ করেন।

উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল্লাহ মিয়া বলেন , অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ। সরিষার বর্তমান বাজারদর প্রায় ১৮শত টাকা।

তিনি আরো বলেন, রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করতে পারলে সরিষার বাজারদর আরও বেশি পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু অভাবের তাড়নায় ফসল তুলার পরই বিক্রি করে দিতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, চলতি বছরে ভৈরবে প্রায় ২ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে পুরো ভৈরব উপজেলায়। একটি লাভজনক ফসল হিসেবে এই সরিষার আবাদ করে থাকেন কৃষকরা। ভোজ্যতেলে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষকদের বীজ-সার প্রণোদনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে কৃষিবিভাগ। ফলে বছর বছর এখানে সরিষার আবাদ বাড়ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল