Headline :
প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালো ভেরা নিয়ে এলো মেহজাবীন ও সিয়ামের সাথে ডান্স চ্যালেঞ্জ মেঘনার কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান রায়পুরায় উপজেলা নির্বাচন ঘিরে মতবিনিময় সভা রায়পুরায় জোড় পূর্বক জমি থেকে গাছ-বাঁশ কর্তন ও জমি দখলের অভিযোগ পলাশ লোহ’র গাওয়া ও সুরে ঈদে রিলিজ হওয়া ৮ টি গানই সফল; আসছে নতুন চমক বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা রায়পুরায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত রায়পুরাকে দূর্নীতিমুক্ত রাখতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন নতুন ইউএনও নওগাঁর আত্রাইয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত ডিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারে বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

মানিকছড়িতে সরিষার হলুদে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন!

Reporter Name / ২৮৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৩

আল আমিন রনি, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের দিগন্তজুড়া ফসলের মাঠ। পৌষের কনকনে বাতাসে সবুজ গাছে দোল খাচ্ছে স্বপ্ন নিয়ে বুনা সরিষার হলুদ ফুল। উৎপাদন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
উপজেলার মানিকছড়ি সদর, গচ্ছাবিল, বাটনাতলী, ছদুরখীল, পান্নাবিল, তিনটহরী, কালাপানি, যোগ্যাছোলা ও আশপাশের এলাকার ঘুরে দেখা যায়, পরিত্যক্ত, আবাদি ও অনাবাদি বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে আবাদ হয়েছে সরিষার। গেলো বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রায় দ্বিগুণ হারে সরিষার চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। ফুল ও ফলে সয়লাব হওয়া সরিষার ক্ষেতে ছবি, সেলফি ও ভিডিও ধারণ করছে প্রকৃতিপ্রেমীরা। আশানুরূপ ফলন পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। চলতি মৌসুমে ২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২৬.৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৮৯ জন কৃষক এবছর সরিষার আবাদ করেছে। তাদেরকে সরকারি রাজস্য প্রণোদনা ও জেলা পরিষদের সহায়তায় বীনামূল্যে সার, বীজ ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলার ছদুরখীল ব্লকের সরিষা চাষি মো. ফিরোজ আলম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবছর নতুন ভাবে ৬৬ শতাংশ জমিতে ‘বিনা সরিষা-৯ ও বারি-১৪’ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন তিনি। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হবেন বলে আশাবাদি।

যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের মাষ্টারপাড়া এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে খরচ হয় আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। আর সাত থেকে আট মণ সরিষা উৎপাদন হয়। ১ হাজার ৯০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যায় ১৫ হাজার ২০০ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ১২ হাজার টাকারও উপরে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মহি উদ্দিন আহম্মদ বলেন, এই অঞ্চলের জমি ও আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য বেশ উপযোগি। এবছর উচ্চফলনশীল (উফশি) বারি-১৪, বারি-৯, বিনা সরিষা-৯ জাতের বীজ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী বছর সরিষা চাষ আরও বাড়বে বলে আশাবাদি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ‘কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়ায় সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন তারা।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল