Headline :
একতারা বর্ষবরণ উৎসবে সম্মাননা পদক পেলেন ৬ নারী উদ্যোক্তা বেলাবতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন নওগাঁর আত্রাইয়ে ১লা বৈশাখ বাংলা নববষ পালিত ঈদের জামাতে জাতির কল্যাণ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া মিজান মালিকের ঈদের গান মায়া নিয়ে এলেন পারভীন লিসা রায়পুরায় বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফের ইফতার মাহফিল রায়পুরায় ৫শতাধিক দু:স্থ্য অসহায়কে শাড়ী-লুঙ্গি দিলেন এমপি ফরিদা ইয়াছমিন কুলিয়ারচরে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আওয়াল ভেড়ামারায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রানার ইফতার মাহফিল নতুন সিআইপি পদে নির্বাচিত শফিকুর রহমান তার নিজ এলাকা কুলিয়ারচরে সংবর্ধিত
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

প্রবীন সাংবাদিক নিবারণ রায়ের বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জণ

Reporter Name / ২২৭ Time View
Update : বুধবার, ১ জুন, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে তৃণমূল সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন কারো খোঁজ করলে প্রথমে আসবে নিবারণ চন্দ্র রায়ের নাম। সাদাসিধে সহজ সরল নির্লোভ মানুষ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত তিনি। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে পথ চলা শুরু হলেও পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতাকে। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে আজও করছেন। বর্তমানে তিনি ইত্তেফাকের নরসিংদী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর সুদীর্ঘ ৫০ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে প্রথম স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১।

সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে নিবারণ রায়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। এসময় তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ ও ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দেশের সবচেয়ে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর জুরিবোর্ড প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। এছাড়া ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ আহ্বায়ক ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর উপস্থিত ছিলেন।

দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ আয়োজন করেছে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। জুরিবোর্ডের বিচারে ৫টি ক্যাটাগরিতে মোট ১১ জন অনুসন্ধানী সাংবাদিক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪ জন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে সাংবাদিক নিবারণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সুদীর্ঘ ৫০ বছরের সাংবাদিকতার স্বীকৃতি পেলাম। তৃণমূলের মফস্বল সাংবাদিকতার জীবনে এটাই প্রথম ও সেরা সম্মাননা। কৃতজ্ঞতা জানাই বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি জুরিবোর্ডের সদস্যদের। যারা তৃণমূলের সাংবাদিক হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন।

নিজের জীবনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নিবারণ চন্দ্র রায় বলেন, মূলত ছেলেবেলা রেডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন ভাষণ শুনতে শুনতে রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হই। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হই নরসিংদী সরকারি কলেজে। মূলত তখনই যুক্ত হই ছাত্র রাজনীতিতে। ১৯৬৯ থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ মহকুমা (উত্তরাঞ্চল) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের একটি অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির নরসিংদী আগমনের সময় যুবলীগ করতে অনুপ্রাণিত হই। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালেই তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ মহকুমা (উত্তরাঞ্চল) যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হই।

এদিকে যুদ্ধ পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও মনে মনে লালিত স্বপ্ন ছিল, সাংবাদিক হওয়ার। ১৯৭২ সালে কলেজের ছাত্র অবস্থায় শেখ ফজলুল হক মণি সম্পাদিক বাংলার বাণী পত্রিকায় নরসিংদী সংবাদদাতা হিসেবে যুক্ত হই সাংবাদিকতায়। ওই বছরই তখনকার ইত্তেফাকের নরসিংদী সংবাদদাতা ঈশ্বর চন্দ্র সূত্রধরকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি নরসিংদী প্রেসক্লাব। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে বাকশাল শুরু হলে ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, অবজারভার ও বাংলাদেশ টাইমস ব্যতীত সব পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে শেখ ফজলুল হক মণির সহযোগীতায় ১৯৭৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের নরসিংদী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করি। নানা চড়াই উতরায়ের মধ্য দিয়ে ৪৬ বছর ধরে আকড়ে আছি সেই ইত্তেফাকে।

নিবারণ রায় আরও বলেন, নরসিংদী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টানা ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। পরবর্তীতে সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছি কয়েকবার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও শেখ ফজলুল হক মণির অন্ধ ভক্ত হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। আমি ১৯৫২ সালের ৩০ আগস্ট নরসিংদীতে জন্মগ্রহণ করি। ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ঊষা রানী রায়কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক।
সূত্র: নরসিংদী টাইম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল