নরসিংদীর মনোহরদীতে নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিস উদ্দীন শাহীনের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়নে এই কার্ড সুবিধা পাওয়া ব্যাক্তিদের নাম পরিবর্তন করে চেয়ারম্যানগণ তাদের পছন্দের ব্যাক্তিদের নাম বসাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
গত রোববার এ ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন কার্ডধারী সুবিধা বঞ্চিত নারী-পুরুষ মনোহরদী উপজেলা খাদ্য অফিসে আসেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন- চরমান্দালীয়া এলাকার প্রবীন আওয়ামী লীগ কর্মী হাসেন উদ্দীন ফকির (৭৬), রবিউল আউয়াল (৭০),আদর বানু (৪০), হনুফা (৪৩), জাহেরা (৫০), আব্দুল কাদিরসহ (৪৫) বেশ কয়েকজন।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির চেয়ারম্যানের নির্বাচন করেছেন তারা। কিন্তু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনিস উদ্দীন শাহীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ কারণে চেয়ারম্যান নানা কৌশলে তাদের ১০ টাকা কেজির চাল সুবিধার কার্ড হস্তগত করে নেন।
তারা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড সুবিধা পেয়েছন। কিন্তু ইদানীং ১০ টাকা কেজির চালের ব্যবস্থা হলে নানা টাল বাহানায় কার্ড আটকে দিয়ে তাদেরকে চাল সুবিধা থেকে বঞ্চিতের পাঁয়তারা করছে চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কার্ড হারিয়ে গেছে বলে তাদের কাউকে কাউকে জানানো হয়। এমতাবস্থায় তারা প্রতিকারের আশায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ছুটে আসে ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যপারে জানতে অভিযুক্ত চরমান্দালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিস উদ্দীন শাহীনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মনোহরদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ ফারুক জানান, এ ব্যাপারে তার কিছুই করার নেই। চরমান্দালীয়া ইউপি চেয়ারম্যানই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এস এম. কাসেম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।