শিশু সুরক্ষা বিষয়ে উন্নয়ন কর্ম পরিকল্পনা প্রনয়নের লক্ষ্যে লাকসামে ইন্টারফেইস সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) লাকসাম থানা প্রাঙ্গণে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-লাকসাম এপির সহায়তায় ও পৌর সভার উত্তর লাকসাম সিটিজেন ভয়েস এন্ড এ্যকশন (সিভিএ) ওয়ার্কিং গ্রুপের আয়োজনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সিভিএ ওয়ার্কিং গ্রুপের সহ-সভাপতি ও চাইল্ড ফোরামের সদস্য রিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মুহিতুল ইসলাম।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ লাকসাম এপির এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার রবার্ট কমল সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া।
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-লাকসাম এপির প্রোগ্রাম অফিসার মহসিন খান, মানিক লাল সরকার, লাকি গমেজ, অশেষ রেমা, স্পন্সরশীপ ও সাপোর্ট সিস্টেম অফিসার লিজা হালদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নারী নেতৃত্ব তৈরি, দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে শিশু সুরক্ষা ও শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয়ভাবে এবং মাঠ পর্যায়ে এডভোকেশী করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছে সিটিজেন ভয়েস এন্ড এ্যাকশন। এর ব্যবহারের মাধ্যমে এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তা ও মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে এই সিভিএ ওয়ার্কিং গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে শিশু সুরক্ষায় সিভিএ ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন মানদন্ড উপস্থাপন করলে প্রধান অতিথি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মুহিতুল ইসলাম তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, লাকসাম থানায় নারী ও শিশু সুরক্ষায় একটি আলাদা সেল রয়েছে।
এছাড়াও শিশুদের জন্য আরেকটি সুরক্ষিত রুম নির্মানের বা বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন রোধে পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বলেও তিনি জানান।