Headline :
দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার শেরপুর প্রেসক্লাবের নয়া কমিটি; দেবাশীষ সভাপতি, মেরাজ সম্পাদক জুনিয়াদহ কৃষি ব্যাংকের শুভ হালখাতা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে ছেঁড়া ১০ টাকার নোট বদলে দেওয়ার তর্কে পূত্র খুন, পিতা আহত ভেড়ামারায় কৃষকদের মাঝে পাট বীজ রাসায়নিক সার বিতরণ প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালো ভেরা নিয়ে এলো মেহজাবীন ও সিয়ামের সাথে ডান্স চ্যালেঞ্জ মেঘনার কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান রায়পুরায় উপজেলা নির্বাচন ঘিরে মতবিনিময় সভা রায়পুরায় জোড় পূর্বক জমি থেকে গাছ-বাঁশ কর্তন ও জমি দখলের অভিযোগ পলাশ লোহ’র গাওয়া ও সুরে ঈদে রিলিজ হওয়া ৮ টি গানই সফল; আসছে নতুন চমক
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন

শেরপুরে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

Reporter Name / ৪৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩

মো. মুরাদ, শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় মো. ইসমাইল হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
৫ জুলাই বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে রায়ে আসামি ইসমাইলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চরগোরকপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ও এক সন্তানের জনক। ঘটনার পর থেকেই সে হাজতবাসে রয়েছে। আদালতে রায় প্রকাশের সময় ইসমাইল হোসেন ছিলেন একেবারেই ভাবলেশহীন।

চাঞ্চল্যকর ওই জোড়া খুনের মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জেলা দায়রা আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের মেয়ে বিলকিস আক্তার (২৫) ও একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিলকিস সন্তানকে নিয়ে ভাই আব্দুল খালেকের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ইসমাইল ওই বাড়িতে গেলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্ত্রী বিলকিস আক্তারের সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধারালো দা দ্বারা তাকে উপুর্যপরি কোপাতে থাকে। বিলকিসের চিৎকারে শ্বাশুড়ি খালেদা বেগম (৫০) ও মামাশ্বশুর নুরুল আমিন, প্রতিবেশি দাদাশ্বশুর কুদ্দুস মিয়া ও চাচীশ্বাশুড়ি সেলিমা বেগম অজুফা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। ওই অবস্থায় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে ইসমাইলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

অন্যদিকে স্ত্রী-শ্বাশুড়িসহ জখমী ৫ জনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন বিলকিস আক্তার মারা যান। এরপর শ্বাশুড়িসহ ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুদিন পর শ্বাশুড়িও মারা যায় এবং অন্য ৩ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেন। ওই ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ বিলকিস আক্তারের বড়ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে নালিতাবাড়ীতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২ অক্টোবর ইসমাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ মে একমাত্র আসামি ইসমাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানার এসআই নজরুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন এবং পরবর্তীতে সংবাদদাতা বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও চলতি বছরের ৫ মার্চ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ইসমাইলকে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার জানান, রায়ের বিষয়ে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল