Headline :
রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫জন সহ ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোটারদের দ্বারে দ্বারে শিক্ষাবিদ লায়লা কানিজ লাকী আমি শাসক নয়, জনগণের সেবক হতে এসেছি: বললেন লায়লা কানিজ লাকী রায়পুরায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলী আহমেদ দুলু’র মতবিনিময় সভা ভেড়ামারায় সড়ক দুর্ঘটনায় মটর সাইকেল আরোহী নিহত আত্রাইয়ে নাগরিক প্লাটপমের সাখে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময় সভা নরসিংদীতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার শেরপুর প্রেসক্লাবের নয়া কমিটি; দেবাশীষ সভাপতি, মেরাজ সম্পাদক জুনিয়াদহ কৃষি ব্যাংকের শুভ হালখাতা অনুষ্ঠিত
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ৫১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

এবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এবার যেহেতু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা চক্রান্ত, সেকারণে নির্বাচনের পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, উৎসবমুখর হয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ছয় জেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলা, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলায় এ নির্বাচনী জনসভা হচ্ছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে এসব জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটা অনুরোধ থাকবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন। যার যার ভোট সে চাইবেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেটাই মেনে নেবেন। সেইভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে।

বিএনপিকে সন্ত্রাসী ও জামায়াত যুদ্ধাপরাধীর দল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরা নির্বাচনে না এলে নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। জনগণের সমাবেশ হলে, ভোটারদের আগমনে এবং ভোটারদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক আমরা সেটাই চাই। আর সন্ত্রাসী দল, ওরা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। ওদের দিয়ে দেশের কোনও কল্যাণ হবে না। দুর্নীতি করা ছাড়া কিছুই দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই মানুষ পোড়ানো আর ধ্বংস করা। নির্বাচিত সরকার, গণতান্ত্রিক সরকার ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আছে বলেই দেশ উন্নত হয়েছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা তো এক কদমও আগাতে পারেনি। দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল।

এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সব প্রার্থীকে পড়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন দলের প্রধান। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে নেবেন এবং সে অনুযায়ী ভোট চাইবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫ এর পর অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। তখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি। তারা এখনো নির্বাচনবিরোধী কাজ করে চলেছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে এমনভাবে পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা যায় না। এরা সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

দেশের বর্তমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসলে এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারবে। নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা ঘরে ঘরে যাবেন, দুয়ারে দুয়ারে যাবেন, ভোট চাইবেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে যেন আমাদের দেশ সেবা করার সুযোগ দেয়।

সূত্র: ইত্তেফাক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল